প্রতীকী ছবি।
কোনও শাড়ি, গয়না বা দামি উপহার নয়, ৭০০ কনের হাতে উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হল মুগুর। আর এই অভিনব উপহার দিলেন মধ্যপ্রদেশের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গোপাল ভার্গব। আর সেই মুগুরগুলোতে লেখা ছিল, ‘শরাবিয়ো কে সুতারা হেতু ভেট, পুলিশ নেহি বোলেগি’। অর্থাত্ মদ্যপদের পেটাতে এই মুগুর উপহার দেওয়া হল। পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে না।
আরও পড়ুন: মেয়েদের মোবাইল নয়, অভিভাবকদের পরামর্শ দুই বিজেপি নেতার
শনিবার রাজ্যের সাগর জেলার গারহাকোটায় গণ-বিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। গারহাকোটা ভার্গবের নিজের শহর। গণ-বিবাহে উপস্থিত ছিলেন তিনি। উপহার হিসাবে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রচুর মুগুর। এই উপহার দেওয়ার পিছনে তাঁর যুক্তি, স্বামীরা যদি মদ্যপান করে স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে, হেনস্থা করে বা বারংবার বলা সত্ত্বেও মদ্যপান করা না ছাড়ে, তা হলে এই মুগুর কাজে আসবে। মুগুর দিয়ে পিটিয়ে সোজা পথে নিয়ে আসার জন্যই এই উপহার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর। কাপড় কাচার জন্য ধোপারা মুগুর ব্যবহার করে থাকেন। এ বার এই মুগুর ব্যবহার হবে ‘স্বামীদের ধোলাই’-এর জন্য! ভার্গব আরও জানান, পুলিশ এ ব্যাপারে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
অনেকেই মন্ত্রীর এই উপহারে অবাক হয়ে যান। কিন্তু ভার্গব জানান, প্রায়ই মহিলারা তাঁর কাছে অভিযোগ করেন মদ খেয়ে এসে স্বামীরা তাঁদের পেটায়, অত্যাচার করে। স্বামীরা কাজ করে যা আয় করেন, সবটাই মদ খেয়ে উড়িয়ে দেন। স্বামীদের পথে আনতে মুগুর দিয়ে পেটানোতে কোনও অন্যায় দেখছেন না বলে জানান ভার্গব। তাঁর মতে, “এ ধরনের ঘটনাগুলো সরকার বা পুলিশ একা সমাধান করতে পারবে না। মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।” অবৈধ মদ বিক্রি রাজ্যের একটা বড় সমস্যা। যত ক্ষণ না মানুষ এর বিরুদ্ধে সরব হবে, কোনও উন্নতি হবে না। মুগুর হাতে তুলে দিয়ে কনেদের তিনি পরামর্শ দেন, মদ্যপান যে ক্ষতিকর সেটা প্রথমে স্বামীদের বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। তার পরেও না শুনলে হাতে মুগুর তুলে নিয়ে ‘ধোলাই’ দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy