কাগজের মালা পরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে শুয়ে রয়েছেন ব্য়ক্তি! ছবি: এক্স।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন। কিন্তু সে সব অভিযোগপত্র খুলেও দেখেনি জেলা প্রশাসনিক দফতর। আরও নানা ফাইলের তলায় চাপা পড়ে থেকেছে তাঁর নথিপত্র। এ বার সে সব নথির মালা গলায় জড়িয়ে হামাগুড়ি দিয়ে প্রশাসকের অফিসে ঢুকে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন এক ব্যক্তি। এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের নিমুচ জেলায়।
প্রতি মঙ্গলবারের মতোই চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারও নিমুচে জেলাশাসকের দফতরে চলছিল জনশুনানি। নানা মানুষ নিজেদের সমস্যা এবং অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎই দেখা যায়, হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকছেন এক ব্যক্তি। সারা গায়ে জড়ানো কাগজের মালা! কয়েক ফুট লম্বা সেই মালায় ফুলের বদলে রয়েছে একাধিক নথি। ব্যক্তির দাবি, প্রতিটি নথিই প্রশাসনিক দফতরে জমা করা অভিযোগের প্রতিলিপি। গত কয়েক বছরে নানা অভিযোগ নিয়ে একাধিক বার প্রশাসনিক দফতরে গিয়েছেন, কিন্তু ছ’বছর কেটে গেলেও মেলেনি সুরাহা। তাই এ বার এই অভিনব পন্থা!
সম্প্রতি ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তাতেই দেখা যাচ্ছে, গায়ে নথির মালা জড়িয়ে গড়াগড়ি দিতে দিতে দফতরে ঢুকছেন ওই ব্যক্তি। চারপাশে উপস্থিত সকলে অবাক হয়ে দেখছেন এই অভিনব ‘প্রতিবাদ’! কেউ কেউ আবার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেও রাখছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম মুকেশ প্রজাপতি। কাঙ্করিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গ্রামের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একাধিক বার জেলাশাসকের দফতরে অভিযোগ করেছেন তিনি। কিন্তু লাভ হয়নি। ছ’বছর পেরিয়ে গেলেও করা হয়নি কোনও পদক্ষেপ। তাই শেষমেশ এ ভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নিমুচের মহকুমা শাসক মমতা খেড়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘মুকেশবাবু গ্রামের মোড়লের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চান। আগেও বহু বার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কোনও কারণে তা আমাদের নজর এড়িয়ে গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দফতর।’’ জেলাশাসক হিমাংশু চন্দ্র জানাচ্ছেন, বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। অভিযোগগুলির ভিত্তিতে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জানাবে দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy