ছবি: সংগৃহীত।
আজ সকালে সংসদের অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর বেরোচ্ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ নকুল নাথ। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে। সে রাজ্যে সরকারের ভবিষ্যৎ কী? প্রশ্ন করতেই একগাল হেসে বললেন, ‘‘ব্যর্থ হবে ‘অপারেশন কমল’। সফল হবে ‘অপারেশন কমল নাথ’।’’
কর্নাটকে এক সময় ভিন্দলের বিধায়ক কেনার অভিযানকে ‘অপারেশন কমল’ (বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক পদ্ম) নাম দেওয়া হয়। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে শাসক শিবিরের কিছু বিধায়ককে বিজেপি ‘অপহরণ’ করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এর মধ্যেই কাল গভীর রাতে বিজেপির বিধায়ক নারায়ণ ত্রিপাঠী হঠাৎ দেখা করতে যান কমল নাথের সঙ্গে। চাউড় হয়, আর এক বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাঠকও না কি চুপিসারে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। অনেকেই বলতে শুরু করেন, কমল নাথ বোঝাতে চাইলেন, বিজেপি তাঁদের শিবির ভাঙতে চাইলে পাল্টা চিড় ধরাতে সক্ষম কংগ্রেসও। যদিও নারায়ণ বলেন, ‘‘এলাকার দাবি নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলাম।’’ সঞ্জয় বলেন, ‘‘কাল রাতে আমাকে অপহরণের চেষ্টা হয়েছে। বিজেপিতে ছিলাম, আছি, থাকব।’’
তবে কংগ্রেসের দাবি, কমল নাথের সঙ্কট অনেকটাই মিটে যাওয়ার পথে। কংগ্রেস ও শরিক দলের বিধায়কদের অনেকের ক্ষোভ রয়েছে। অচিরেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করে তা দূর করতে হবে। যে বিধায়করা এখনও ফেরেননি, তাঁদের সঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগ আছে। কমল নাথও আজ বলেন, ‘‘আমাদের নেতাদের কেনা যাবে না। তাঁদের রাজনীতি আদর্শ ও সেবার।’’ কংগ্রেসের একটি অংশের দাবি, সঙ্কট তৈরি করেছেন দলেরই নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি রাজ্যসভা ভোটে ফের প্রার্থী হতে চান। তিনি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রার্থীপদ রুখতেও মরিয়া। ফায়দা তুলছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: অফিসারদের দায়ী করল দিল্লি পুলিশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy