কেরল হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত।
ফের ‘লাভ জেহাদ।’ ফের কেরল।
কেরলের মেয়ে অখিলা অশোকন ওরফে হাদিয়াকে জোর করে ধর্মান্তর করা হয়েছে কি না, তাই নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তারই মধ্যে আর এক লাভ জেহাদের অভিযোগ নিয়ে নিজেই কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আর এক তরুণী। ওই যুবতীর অভিযোগ, জোর করে ধর্মান্তরিত করে তাঁকে বিয়ে করেন সাজ্জাদ রাহম নামে এক যুবক। যৌনদাসী বানিয়ে তাঁকে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর সিরিয়ায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা সাজ্জাদ করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওই মহিলার। তরুণীর দাবি, গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে কেরলের সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া।’
একই অভিযোগ করেছেন হাদিয়ার বাবা এম অশোকনও। ২৪ বছরের অখিলা ইসলাম গ্রহণ করে হাদিয়া নাম নিয়ে মুসলিম যুবক শাফিন জাহানকে বিয়ে করেন। অশোকনের অভিযোগ ছিল, জোর করে তাঁর মেয়ের ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে। সেখানেও ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’র নাম ওঠে। শাফিন ওই সংগঠনের সদস্য। অন্য ঘটনাটিতে কেরল হাইকোর্টে করা আবেদনে তরুণী জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুতে পড়ার সময়ে সাজ্জাদের সঙ্গে তাঁর প্রেম। তরুণীর অভিযোগ, তাঁদের সহবাসের ছবি সাজ্জাদ ভিডিও ক্যামেরায় তুলে রাখতেন। পরে সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই যুবতীকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেন।
নিগৃহীতার আরও অভিযোগ, চলতি বছরের অগস্টে তাঁকে যৌনদাসী হিসেবে সৌদি আরব নিয়ে যান সাজ্জাদ। চলতি বছরের অক্টোবরে তাঁদের সিরিয়াও যাওয়ার কথা ছিল। তা জানতে পেরে ৩ অক্টোবর তরুণী ইন্টারনেট কলের মাধ্যমে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে উদ্ধার করতে বলেন। তরুণীর বাবা তাঁকে হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে বিমানের টিকিট পাঠান। ৪ অক্টোবর পালান ওই তরুণী। ৫ অক্টোবর তিনি পৌঁছন অমদাবাদে। ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন নির্যাতিতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy