প্রচার: মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় রাহুল গাঁধী। শুক্রবার। পিটিআই
মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কার্যত হাসিঠাট্টা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর কটাক্ষ, টেলিপ্রম্পটারে লেখা রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যেন ভুল করেও জনসভায় কর্মসংস্থান কিংবা ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা না বলেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘চৌকিদার’ শব্দটি বলতেও মোদী এখন ভয় পাচ্ছেন।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁর সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হলে বছরে দু’লক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে জমা পড়বে। কিন্তু চাকরি তো দূরস্থান, মোদী জমানায় বেকারত্বের হার ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। এ বারের ভোট প্রচারে মোদী আর কর্মসংস্থান এবং ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছেন না। মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় আজ রাহুল বলেন, ‘‘মোদী ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কথা বলতেন। কিন্তু এখন তার কী হল? টেলিপ্রম্পটারে লেখা রয়েছে, মোদীজি ভুল করেও কর্মসংস্থান এবং ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার কথা বলবেন না। বললেই বিপদ!’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাহুলের ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান এ বার ভোট মরসুমে রীতিমতো জনপ্রিয়। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা টুইটারে নিজেদের নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটি লিখে ফেলেছেন। রাহুল জানান, নির্বাচন কমিশন তাঁকে ‘চৌকিদার’ কথাটি বলতে বারণ করেছে। কারণ, তিনি ‘চৌকিদার’ বললেই লোকেরা বলেন, ‘চোর হ্যায়’। এর পরই রাহুলের মন্তব্য, ‘‘মোদীজিও এখন আর দলীয় সভায় ‘চৌকিদার’ কথাটা বলেন না। ভুল করে বলে ফেললে, সভা থেকেই স্লোগান ওঠে ‘চোর হ্যায়’!’’
শুধু প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা নয়, কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হলে কী কী করবে, সেই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, অনিল অম্বানী, নীরব মোদী, ললিত মোদীদের চৌকিদারে পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুলের দাবি, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাঁরা শ্রমিক, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের চৌকিদার হবে। রাহুলের অভিযোগ, ‘‘দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুব সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন। চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা, কয়েক লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy