ঠাকুরমা ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে তুলনাতেই যেতে চান না প্রিয়ঙ্কা। ছবি: পিটিআই।
সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখার আগে থেকেই তুলনাটা ছিল। তবে ছিল। তবে তাঁর গুণমুগ্ধরা যা-ই বলুন না কেন, ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে কোনও তুলনাতেই যেতে চান না স্বয়ং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা। বরং ইন্দিরার মতোই জনসেবা করে যেতে চান। নির্বাচনী প্রচারে কানপুরে গিয়ে এমনটাই বললেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, “তিনি ইন্দিরা গাঁধী নন, তবে তাঁর মতো কাজ করতে চেষ্টার কোনও কসুর করবেন না।”
শনিবার কানপুরে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে তাঁর ঠাকুরমা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে তুলনা টানেন এক কংগ্রেস কর্মী। সে সময় প্রিয়ঙ্কা বলেন, “ইন্দিরাজির সামনে আমি কিছুই নই। তবে জনসেবার যে ইচ্ছা তাঁর হৃদয়ে ছিল, তা আমার আর আমার ভাইয়ের মনেও রয়েছে। তা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। এবং সুযোগ দিন বা না দিন, আমরা আপনাদের সেবা করে যাব।”
গত কাল কানপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী শ্রীপ্রকাশ জায়সবালের হয়ে পথসভা করেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে বিজেপি সরকারকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “দু’ধরনের সরকার হয়... এক, যা জনগণের জন্য কাজ করে। দুই, যারা কেবলমাত্র নিজেদের উন্নতির জন্য কাজ করে। বিজেপি সরকার শুধুমাত্র প্রচার আর লোকদেখানোর জন্যই রয়েছে।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কানপুরে নির্বাচনী প্রচারে প্রিয়ঙ্কা। ছবি: পিটিআই।
আগামী ২৩ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের ১০টি আসনে ভোট। কানপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট পরের দফায়, অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল। সেই ভোটে প্রচারে গিয়ে প্রিয়ঙ্কার দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে কানপুরের কোনও উন্নতিই হয়নি। বিজেপি সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “কানপুরকে স্মার্ট সিটি করে দেবে বলেছিল ওরা। তবে এখনও পর্যন্ত সে সব কিছুই হয়নি।”
আরও পড়ুন: গেরুয়া সন্ত্রাস প্রশ্নে কংগ্রেসকে জবাব দিতেই প্রার্থী করা হয়েছে সাধ্বীকে: মোদী
দেশের উন্নতিতেও মোদী সরকারের অবদান উল্লেখযোগ্য নয় বলে প্রিয়ঙ্কার দাবি। তাঁর কথায়, “দেশের যুবসমাজ বেকারত্বের শিকার। কৃষকেরা বিপুল ঋণের আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।”
আরও পড়ুন: ‘বাবরি ভেঙে বেশ করেছি’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য সাধ্বীর, নোটিস ধরালো কমিশন
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নিজের ভাই তথা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর তুলনা করেন প্রিয়ঙ্কা। মোদীকে দূর্বল নেতা বলে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এই দু’জনকে দেখুন। এক জনের (নরেন্দ্র মোদী) বিরুদ্ধ মত শোনার সহ্যশক্তিই নেই। আর অপর জনকে প্রতি দিনই এই সব লোকেদের (বিজেপি) থেকে নানা কুকথা শুনতে হয়— তাঁর (রাহুল গাঁধী) মায়ের সম্পর্কে, তাঁর বাবা-ঠাকুরমার সম্পর্কে, তা সত্ত্বেও সে হাসিমুখে সব শুনে যায়। সে অন্যের সমালোচনা না করে নিজেকে উন্নত করতে চায়। একেই বলে রাজনৈতিক সদ্দিচ্ছা!”
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy