‘নমো টিভি’ ঘিরে বিতর্ক চলছেই।
গতকাল কমিশনে জবাব দিয়েছিল কেন্দ্রের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক। আজ বৃহস্পিতবার ‘নমো টিভি’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিল টাটা স্কাই।ডিটিএইচ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার টুইটার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় নতুন টুইট করে সংস্থার সিইও হরিত নাগপাল জানিয়ে দিলেন, এটি ‘হিন্দি নিউজ সার্ভিস’ নয়, একটি ‘বিশেষ পরিষেবা’। তাই এর জন্য তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। এই চ্যানেল আলাদা করে কেউ নিজের ডিটিএইচ থেকে ডিলিট করতে চাইলেও তা পারবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন টাটা স্কাইয়ের সিইও।
গত ৩১ মার্চ কার্যত চুপিসারে উদ্বোধন হয়েছিল ‘নমো টিভি’। টাটা স্কাই-সহ প্রায় সব ডিটিএইচ পরিষেবাতেই গ্রাহকদের না জানিয়েই চালু হয়ে যায় এই ‘চ্যানেল’। দেখানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভোটপ্রচার-সহ বিজেপিকেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে এই ‘নমো টিভি’।
কেন বিতর্ক? বিরোধীদের অভিযোগ লোকসভার নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর এই চ্যানেল চালু করা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের শামিল। তাছাড়া এই চ্যানেলের মালিক কে, আর্থিক সংস্থা বা ব্যক্তিগত মালিকানা, কোথা থেকে টাকা আসছে, কারা কাজ করেন, সে সব নিয়ে প্রায় পুরোটাই ধোঁয়াশা।
সেই ধোঁয়াশা আরও বাড়িয়ে দেয় টাটা স্কাইয়ের তরফে করা একটি টুইট। ওই টুইটে বলা হয়, ‘নমো টিভি’ একটি হিন্দি নিউজ সার্ভিস, যাতে জাতীয় রাজনীতির সাম্প্রতিক সব খবর দেখানো হয়। অন্য দিকে বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নোটিস ধরিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রককে। তার জবাবে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা ছিল, ‘নমো টিভি’একটি বিজ্ঞাপনী পরিষেবা। তার জন্য কেন্দ্রের লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ‘নমো টিভি’র খরচ বহন করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: আর্থিক বছরের শুরুতে ফের রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কমতে পারে গাড়ি-বাড়ির ঋণের সুদ
আরও পড়ুন: রেকর্ড দশ গুণ লাফ! নোটবন্দির বছরে রিটার্ন জমা দেননি ৮৮ লক্ষ আয়করদাতা
টাটা স্কাই কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রের এই দু’রকম ব্যাখ্যায় আরও বিভ্রান্তি আরও বাড়ে। তাই বৃহস্পতিবার ময়দানে নামেন খোদ সিইও। টুইটারে তিনি স্পষ্ট করেছেন, নমো টিভি হিন্দি নিউজ সার্ভিস নয়। কেউ সংস্থার পক্ষ থেকে টুইট করে এটাকে নিউজ সার্ভিস বললে সেটা ভুল হয়েছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘এটি টিভি চ্যানেলের কোনও বিভাগেই পড়ে না। এটি বিশেষ পরিষেবা। আর বিশেষ পরিষেবার জন্য লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আবার গ্রাহকদের না জানিয়ে চ্যানেল চালু করে দেওয়ায় বিতর্কও তৈরি হয়েছে। অনেক গ্রাহকই পরিষেবা চাইছেন না। কিন্তু সেটা বাদ দেওয়ার উপায়ও নেই। এমনই এক গ্রাহক টাটা স্কাইয়ের উদ্দেশে টুইট করেন। তার জবাবেও টাটা স্কাই কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই পরিষেবা সব গ্রাহকের জন্যই উদ্বোধনী অফার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আলাদা করে নির্দিষ্ট কোনও গ্রাহকের জন্য সেটা বাদ দেওয়া উপায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy