সুমিত্রা মহাজন। —ফাইল চিত্র।
আর পাঁচতারা হোটেল নয়। ভোটে জিতে আসার পরে নতুন সাংসদদের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অতিথিশালা ও জনপথের ওয়েস্টার্ন কোর্টের অতিথিশালাতেই ঠাঁই নিতে হবে।
সপ্তদশ লোকসভায় কারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, বৃহস্পতিবার ভোটের ফলের পরেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। এত দিন নতুন সাংসদদের জন্য ফ্ল্যাট-বাংলো বরাদ্দ হওয়া পর্যন্ত তাঁদের দিল্লির তিনটি পাঁচতারা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু সে জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ বার তাই ঠিক হয়েছে, নতুন সাংসদদের জন্য দিল্লির অশোক, সম্রাট বা জনপথ হোটেলে ঘর নেওয়া হবে না। তার বদলে ওয়েস্টার্ন কোর্টের অতিথিশালা ও রাজ্যগুলির অতিথিশালায় বন্দোবস্ত করা হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত লোকসভা ভোটের পর তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে একটি প্রশ্নের জবাবে জানা গিয়েছিল, নতুন সাংসদদের পাঁচতারা হোটেলে রাখতে গিয়ে এক বছরে ২২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেটাও অবশ্য পুরো হিসেব নয়। কারণ বাংলো ও ফ্ল্যাট না পাওয়া পর্যন্ত অনেককে এর বেশি সময়ও হোটেলে থাকতে হয়। এবার সপ্তদশ লোকসভার প্রস্তুতির শুরুতে বিদায়ী স্পিকার সুমিত্রা মহাজন স্পষ্ট করে দেন, কোনও পাঁচতারা হোটেলে ঘর নেওয়া হবে না। ওয়েস্টার্ন কোর্টে ১০০টি ঘর রয়েছে। রাজ্য সরকারের অতিথিশালাতেও ২০০-র বেশি ঘরের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। আজ লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল স্নেহলতা শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘প্রায় ৩০০টি ঘরের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।’’ প্রায় ২৫০ জন নতুন সাংসদ জিতে আসবেন ধরে নিয়ে এগোচ্ছেন লোকসভার সচিবালয়ের কর্তারা।
লোকসভার নতুন অধিবেশনের জন্য সেন্ট্রাল হল থেকে সংসদ ভবনে নতুন করে ঝাড়পোঁছ, চুনকাম হয়েছে। সেন্ট্রাল হলের ডেস্ক পালিশ করা হয়েছে। সুগন্ধী গাছের বাগান তৈরি হয়েছে সংসদ চত্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy