মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা. ছবি: পিটিআই।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাঁচ রাজ্যের ৬৭৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। এবং ওই সব রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই ‘পিঙ্ক বুথ’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই পিঙ্ক বা গোলাপি আবার তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-র পতাকার রং। ফলে বিষয়টিকে রাজনৈতিক রং লেগে গিয়েছিল। তুঙ্গে উঠেছিল বিতর্ক।
সেই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনও বুথকে চিহ্নিত করতে আর নির্দিষ্ট কোনও রং ব্যবহার করতে রাজি নয় কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) কাছে এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়েছে তারা।
২০১৮ সালে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনে ৪৫০ পিঙ্ক বুথ ছিল। সেই সব বুথ সাজানো হয়েছিল গোলাপি বেলুনে। এমনকি ভোটকর্মীদের পোশাকেও ছিল গোলাপির ছোঁয়া।
কিন্তু তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনে পিঙ্ক বুথের বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল কংগ্রেস। কমিশন সূত্রের বক্তব্য, নির্দিষ্ট কোনও রঙে বুথ চিহ্নিত করা হলে তা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকের রঙের সঙ্গে মিলে যেতে পারে। কারণ, দেশে সাতটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল থাকলেও আঞ্চলিক দল রয়েছে অনেক। এটা মাথায় রেখেই রং-বিহীন বুথ তৈরির কথা বলা হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহিলা ভোটকর্মীর সংখ্যা বাডিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য। লোকসভা ভোটেও মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
মহিলা ভোটকর্মী পরিচালিত বুথে রক্ষীরাও মহিলা। ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ১০.৬ লক্ষ বুথ রয়েছে। লোকসভা ভোটে মহিলা পরিচালিত বুথের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আলাদা করে কোনও নির্দেশ রাজ্যগুলির কাছে পাঠানো হয়নি। ভোট ঘোষণার সময় মহিলা পরিচালিত বুথ সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশ দিতে পারে কমিশন। নারী ও পুরুষের সমানাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণ— এই দু’টি উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করতেই পিঙ্ক বুথের সংখ্যা নির্দিষ্ট করেছিল কমিশন। রঙের প্রশ্ন বাদ দিয়ে মহিলা পরিচালিত বুথে জোর দেওয়া হচ্ছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে নারী ও পুরুষের ভোটের ব্যবধান ছিল দেড় শতাংশ। সেই ব্যবধান এ বার কমবে বলেই আশা করছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy