বার বার বিদ্ধ কেন মহিলা রাজনীতিকরা, উঠছে প্রশ্ন।
ফের বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, প্রচারেও বাড়ছে ঝাঁঝ। আর এই প্রচারের সময়ই ‘হাওয়া গরম’ করতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মা।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সিকন্দরাবাদে একটি প্রচার সভায় গিয়ে বিজেপির নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ ‘পাপ্পু’ বলে সম্বোধন করেন রাহুল গাঁধীকে। এর পরই তিনি প্রিয়ঙ্কাকে ‘পাপ্পুর পাপ্পি’ বলে সম্বোধন করেন। শর্মার এ জাতীয় মন্তব্যের পরই তৈরি হয় বিতর্ক।
তবে শুধু প্রিয়ঙ্কা গাঁধী নন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও মহেশএর মন্তব্য আপত্তিকর বলে মনে করেছেন নেটিজেনরা। মহেশ এ দিনের জনসভায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিকন্দরাবাদে এসে যদি কত্থকও নাচেন, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এসে গানও করেন, তাহলেও কেউ দেখবে কি?’’
লোকসভা ভোটের সব খবর পড়তে ক্লিক করুন
তিনি এর পর তিনি সরাসরি আক্রমণ করেন রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। তাঁর কথায়, ‘‘রাহুল গাঁধী বলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান, সুতরাং সঙ্গে এসে পড়েছেন মায়াবতী, অখিলেশ যাদবরাও।’’ এদিনের সভায় মহেশ বার বার তোপ দাগেন প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে, বলেন ‘‘পাপ্পুর পাপ্পিও এখন এসে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে।’’
আরও পড়ুন: ২০১৪ সালে ভোট বয়কটের প্রচার করে ধরা পড়েন, এ বার মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে চান এই কাশ্মীরী
এতেই থামেননি মহেশ, প্রিয়ঙ্কাকে সরাসরি আক্রমণ করে মহেশ বলেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কা কি এর আগে দেশের মেয়ে ছিলেন না? তিনি কি কংগ্রেসের কন্যা নন?’’
মহেশের এই মন্তব্যগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশ্ন উঠেছে রাজনীতিতে লিঙ্গবৈষম্য নিয়েও। বারবার মহিলা রাজনীতিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য শোনা গিয়েছে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর মুখে। সম্প্রতি বিজেপির সভাপতিও পশ্চিমবঙ্গের দুই তৃণমূল তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। দুই টলি অভিনেত্রীই এ বারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন। প্রার্থী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তাঁদের নিয়ে নানা ঠাট্টা-তামাশা, যেগুলির অধিকাংশই আপত্তিকর।
আরও পড়ুন: আজ বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশ, রাজ্যে কে কোথায় প্রার্থী, জল্পনা তুঙ্গে
মহেশ শর্মা যদিও এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। গত সপ্তাহেই গৌতম বুদ্ধ নগরের সাংসদ দাবি করেছিলেন, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনার পরেও মানুষের ইচ্ছে পূরণ হয় না। তা হলে সাংসদ তা কী ভাবে পারবেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy