ছবি: এএফপি।
লালকৃষ্ণ আডবাণীকে সরিয়ে গুজরাতের গাঁধীনগর থেকে প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি নিজেই লোকসভা ভোট লড়তে চেয়েছিলেন।
গাঁধীনগরে মনোনয়নপত্র পেশ করার পরে এক টিভি সাক্ষাৎকারে অমিত জানান, গাঁধীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনেই বিধানসভা থেকে তিনি পাঁচ বারের বিধায়ক। জনতার মধ্যে থেকে জিতে এসেছেন তিনি। সে কারণেই লোকসভা ভোটে লড়ার ‘অনুরোধ’ করেছিলেন দলকে। কিন্তু যখন তাঁর বিধায়ক পদের মেয়াদ শেষ হয়, সেই সময় কোনও লোকসভা নির্বাচন ছিল না। এ বারে ভোট আসায় প্রার্থী হয়েছেন। দল তাঁর ‘অনুরোধ’ মেনে নেওয়ায় তিনি গর্বিতও।
আডবাণীকে সরিয়ে অমিত শাহকে প্রার্থী করার সময় বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, গুজরাতের রাজ্য নেতৃত্ব থেকেই প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতা আডবাণী। তিনি আরও চটেছেন এই কারণে, তাঁকে ভোটে না-লড়ার বার্তা নিয়ে দলের কোনও বড় নেতা আসেননি। এসেছেন সংগঠনের দায়িত্বে থাকা রামলাল। আডবাণীকে বলা হয়েছিল, তিনি নিজেই ঘোষণা করুন, ভোটে লড়তে ইচ্ছুক নন। কিন্তু ক্ষুব্ধ আডবাণী সে কথা শোনেননি। আর এক প্রবীণ নেতা মুরলীমনোহর জোশীকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। জোশী নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে কানপুরের ভোটারদের লিখিত আকারে জানিয়ে দেন, রামলাল তাঁকে ভোটে না-লড়ার কথা বলেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দলের কিছু নেতা অবশ্য এখনও বলছেন, লোকসভা না হলেও আডবাণী-জোশীদের জন্য রাজ্যসভার দরজা খোলা রয়েছে। তবু যে ভাবে অমিতের মনোনয়নের সময় এনডিএ-র প্রবীণ নেতা প্রকাশসিংহ বাদল, উদ্ধব ঠাকরেদের গুজরাতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল, রাজনাথ সিংহ-অরুণ জেটলির মতো নেতাদেরও সঙ্গে রাখা হল— তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি নরেন্দ্র মোদী ভবিষ্যতের জন্য নিজের উত্তরাধিকারী তৈরি করছেন অমিত শাহকেই? ফের মোদী ক্ষমতায় এলে অমিতই কি হচ্ছেন সরকারে ‘নম্বর-টু’? কারণ, প্রকাশসিংহ বাদল সে দিনই প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘এর পর সরকারেও শামিল হবেন শাহ।’’
বিজেপি সভাপতি অবশ্য বলছেন, ‘‘সরকারে আমার থেকেও যোগ্য নেতারা রয়েছেন। বর্তমানে আমি রাজ্যসভার সাংসদ। সরকারে শামিল হওয়ার হলে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেই তা (মন্ত্রী) হওয়া যেত। ফলে লোকসভা ভোটে লড়ার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি মনে করি, আমার লোকসভা থেকেই জিতে আসা উচিত।’’ কিন্তু মুখে অমিত যা-ই বলুন, দলের অনেক নেতার বক্তব্য, মোদী সরকার ফের আসছে। আর অমিতও সেই সরকারে শামিল হচ্ছেন। আর তিনিই হবেন ‘নম্বর-টু’। আর পাঁচ বছর পরে অমিতই হবেন প্রধানমন্ত্রী পদে দলের প্রার্থী। কারণ, তত দিনে নরেন্দ্র মোদীর ৭৩ বছর হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy