লোকসভা সংগৃহীত ছবি
নির্ধারিত সময়ের আগেই লোকসভায় শেষ হচ্ছে বাদল অধিবেশন। ১৩ অগস্ট অর্থাৎ আগামী শুক্রবার সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিরোধীদের বিক্ষোভ, হইহট্টগোল মধ্যে প্রত্যাশা মতো কাজ হয়নি বলেই বুধবার লোকসভায় বাদল অধিবেশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, রাজ্যসভায় বিরোধীদের আচরণে ক্ষুন্ন হয়ে কেঁদেই ফেললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
কেন্দ্রের আনা তিনটি কৃষি আইন খারিজ করার দাবিতে মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের সামনে ‘রিপোর্টারস’টেবিল’-এ বসে পড়েছিলেন বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, স্লোগান দিতে দিতে এক সাংসদকে বিধিনিয়মের ফাইল ছুড়ে মারতেও দেখা গিয়েছিল চেয়ারে থাকা ডেপুটি চেয়ারম্যান ভুবনেশ্বর কলিতার দিকে। ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেই বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘‘বিরোধীদের আচরণে সংসদের পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। গণতন্ত্রের পবিত্র স্থানে মঙ্গলবার যা ঘটেছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসাবে তার পরিণাম ভেবে আমি সত্যিই ভীত। সারা রাত ঘুমোতে পারিনি।’’ গতকালের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন উপরাষ্ট্রপতি।
গত ১৯ জুলাই সংসদে শুরু হয়েছিল বাদল অধিবেশন। তখন থেকেই পেগাসাস, নয়া কৃষি আইন, জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধের সংসদে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। শুরু থেকেই প্রায় প্রত্যেক দিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টায় মুলতুবি থেকেছে উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষের অধিবেশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতির কাগড় ছিঁড়ে গোটা বাদল অধিবেশন পর্বের জন্যই সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। শান্তনু ছাড়াও বিরূপ আচরণ করার অভিযোগ আরও বেশ কয়েক জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই বছরের বাদল অধিবেশনে একাধিক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ।
সংসদে অধিবেশন অচলাস্থার জন্য বিরোধীদের দায়ী করে কড়া সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরাও পাল্টা বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, পেগাসাস নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি কেন্দ্র না মানায় বিরোধীরা বিক্ষোভের পথে হেঁটেছে। বিরোধীদের দাবি মেনে গণতন্ত্রের মানরক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় তার দায় কেন্দ্রকেই নিতে হবে।
এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ‘‘এই অধিবেশনে লোকসভায় আশানুরূপ কাজ না হওয়ায় আমি সত্যিই দুঃখিত।’’ নির্দিষ্ট সময়ের আগে লোকসভায় বাদল অধিবেশন শেষ হওয়া নিয়ে নিয়ে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘হঠাৎ-ই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও জরুরি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি বাদল অধিবেশনের গোটা পর্ব জুড়ে। আজ প্রথম বার মোদীজিকে দেখলাম। যখন সব শেষ হয়ে গিয়েছে, তখন উনি এসেছেন। ওবিসি বিল ছাড়া কোনও বিল নিয়েই আলোচনা হয়নি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাশ করানো হয়েছে বিল। বিরোধীরা বক্তব্যও সম্প্রচার করে না এই সরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy