নতুন বই প্রকাশে ভির সাংভি
রাজনীতি থেকে খাওয়াদাওয়া, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিশ্লেষণ থেকে তারকাদের সাক্ষাৎকার, যেকোনও ক্ষেত্রেই যাঁর সাবলীল বিচরণ তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক ভির সাংভি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে শুরু করেন সাংবাদিকতা। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই নিজ ক্ষেত্রে তাঁর স্বকীয়তা স্থাপন করে ভারতের অনুজতম সম্পাদক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন ‘সানডে’ পত্রিকায়। দূরদর্শনের পর্দায় বিভিন্ন তারকাদের সাক্ষাৎকার তাঁর সুচারু সঞ্চালনায় এক অন্য মাত্রা পায়। এরপর ‘হিন্দুস্থান টাইমস’। সাম্প্রতিককালে রাজনীতি এবং খাওয়া-দাওয়া বিষয়ক নানা লেখায় মিলছে তাঁর পারদর্শীতার নিদর্শন।
সম্প্রতি তাঁর স্মৃতিকথা ‘A Rude life’ বইটি প্রকাশিত হয় ‘কিতাব বুকস’-এর একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে। আয়োজনে প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশন, সহযোগী পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউজ ইন্ডিয়া, শ্রী সিমেন্ট লিমিটেড ও স্পেকট্রাম পুণে। বইটি উদ্বোধন করেন ‘এএনআই নিউজ এজেন্সি’র চেয়ারম্যান অভিজ্ঞ সাংবাদিক প্রেম প্রকাশ। অনুষ্ঠানটির ঘোষক ছিলেন সোনি জৈন, সঞ্চালনা করেন নলিনী মেহরা।
কথোপকথন শুরু হয় সাংভির অল্প বয়সের স্মৃতিচারণ দিয়ে। ‘আমার বাবার খুবই ইচ্ছে ছিল আমি ইংল্যান্ডের কোনও স্কুলে ভর্তি হই কিন্তু তা কী করে সম্ভব তার কোনও ধ্যানধারণাই ছিল না কারওর। আমার যখন মাত্র ১৫ বছর বয়স, তখন বাবার অকালমৃত্যুতে গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ। আমার মা তখন শোকে মুহ্যমান। তখন বুঝতে পারি আমাকে নিজেকেই কিছু করতে হবে। যে বিদ্যালয়ে আমার পড়ার ইচ্ছে ছিল সেখানকার প্রধান শিক্ষককে ফোন করে ওঁর সঙ্গে দেখা করি। আমার ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেন উনি। শিক্ষকদের আমাকে বেশ পছন্দও হয় এবং আমার নাম নথিভুক্ত করা হয়।’
আলোচনা প্রসঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের প্রধান ব্যক্তিত্বদের নিয়ে নানা কৌতূহলী মন্তব্য করেন ভির। প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তাঁর সৌজন্যপূর্ণ ব্যবহারের তারিফ করেন তিনি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেসাইকে নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত কঠোর, নিয়মনিষ্ঠ, ধর্মপরায়ণ, অনমনীয় একজন মানুষ ছিলেন যাঁর পক্ষে কোনও মানুষের সঙ্গে সংযোগ রেখে জোটবেঁধে কাজ করে যাওয়া সম্ভব ছিল না।’ প্রেম প্রকাশও তাঁর এই মন্তব্যে সহমত প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি প্রতারণা করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রচুর নথী আত্মসাৎ করেন।’
অমিতাভ বচ্চনের রাজনীতিতে পদার্পণ করা নিয়ে ভিরকে যখন প্রশ্ন করেন প্রকাশ তখন তিনি বলেন অমিতাভ বচ্চনের এই সিদ্ধান্তের দুটি কারণ। প্রথমত ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পরবর্তী সময়ে তিনি রাজীব গান্ধীর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। আর যে সব ভারতবাসী তাঁকে রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদা দিয়েছিলেন তাঁদের জন্য তিনি কিছু করতে চেয়েছিলেন।
নানা টুকরো টুকরো ঘটনা নিয়ে কথোপকথন চলতে থাকে। নানা কথার মধ্যে থেকে উঠে আসে হিন্দুস্থান টাইমসের কথা। ওই সময়টা ছিল তাঁর সবথেকে গর্বের সময় এমনটাই মন্তব্য করেন সাংভি। তিনি বলেন, ‘ওই সময় আমি ও আমার টিম কাগজটাকে সময়োপযোগী করতে পেরেছিলাম, আধুনিকীকরণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।’
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দর্শকদের মধ্যে থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসে। কীভাবে জাতি নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে বা ভারতবর্ষে কীভাবে অপরাধজগৎ সংযুক্ত হয়ে যায় রাজনীতির সঙ্গে ও অন্যান্য এমন নানা প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy