প্রতীকী ছবি।
কখনও বাড়ি থেকে খাবার চুরি করছিল, কখনও বাচ্চাদের হাত থেকে খাবার কেড়ে নিচ্ছিল, তো কখনও আবার গাছের ফল নষ্ট করে দিচ্ছিল। দীর্ঘ দিন ধরেই এক হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন গ্রামবাসীরা। এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে শেষমেশ বন দফতরকে খবর দিয়েছিলেন কর্নাটকের চিকমাগালুর জেলার কোট্টিহেগরা গ্রামের বাসিন্দারা।
বন দফতর হনুমানটিকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে। কিন্তু কিছুতেই তাকে ধরতে পারছিলেন না বনকর্মীরা। জগদীশ নামের জনৈক অটোচালক জানান, হনুমানটিকে ধরতে যাওয়ার সময় তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল। হাতে কামড়ে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, নিজেকে হামলা থেকে বাঁচাতে অটোর ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন জগদীশ। কিন্তু সেখানে গিয়েও হামলা চালানোর চেষ্টা করে সে। এমনকি তিনি বাড়ির দিকে দৌঁড়তেই তাঁর পিছু পিছু হনুমানটি তাড়া করেছিল বলে দাবি জগদীশের। শেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রামবাসী এবং স্থানীয় অটোচালকদের সহযোগিতায় হনুমানটিকে ফাঁদে ফেলেন বন দফতরের কর্মীরা। তার পর ওই গ্রাম থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে বালুর জঙ্গলে গিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে আসেন তাঁরা।
গ্রামবাসীরা ভেবেছিলেন, আর তাদের হনুমানের জ্বালা সহ্য করতে হবে না। কিন্তু তাঁদের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে ফের ওই হনুমানটি গ্রামে হাজির হওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। সবেমাত্র ওই গ্রামে স্কুল খুলেছে। পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। ফের হনুমানটি্র আগমনে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আবার বন দফতরের কাছে খবর দেওয়া হয়।
হনুমানের গ্রামে ফিরে আসার খবর পেয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেন জগদীশ। তিনি বলেন, “ফের ওই হনুমানের আসার খবর শুনে আমি বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছি। আমার উপরে ফের হামলা চালাতে পারে সে। বন দফতরকে খবর দিয়েছি হনুমানটিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।”
তবে বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে ওই অটোচালকের উপরেই হামলা চালিয়েছিল হনুমানটি তা জানা যায়নি। হয়তো আগে কোনও দিন হনুমানটির ক্ষতি করেছিলেন ওই অটোচালক। সে কারণেই তার উপর হামলা চালিয়েছিল। তবে এমন ঘটনা আগে দেখা যায়নি। ছেড়ে দিয়ে আসার পর ২২ কিমি পথ পেরিয়ে ফের একই জায়গায় এসেছে হনুমান। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, ‘বদলা’ নিতেই ফের তাঁদের গ্রামে হাজির হয়েছে হনুমান। তবে এ বার হনুমানটিকে ধরে জঙ্গলের আরও গভীরে ছেড়ে দিয়ে এসেছেন বনকর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy