—প্রতীকী চিত্র।
অসমে থেকে অসমের পুজোয় বাংলা ভাষার ব্যবহার কেন, এই প্রশ্ন তুলে পূজা-গেট থেকে কমিটির নাম লেখা ব্যানার ও ফ্লেক্স খুলে নিল বীর লাচিত সেনা নামের একসংগঠন। হুমকি দেওয়া হয়, অসমে থেকে বাংলার ব্যবহার চলবেনা। একে বৃহত্তর অসমিয়া সমাজ গঠনেবাধাদানের চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন সংগঠনের কর্মীরা। আয়োজকরাবলেন, প্রায় সবাই বাঙালি বলে দুর্গাপূজার গেটে নিজেদের কমিটির নাম বাংলাতেই লিখেছিলেন। সে জন্য তাঁদের ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে।
বিশ্বনাথ এবং নগাঁও জেলার দু’টি ঘটনায় অসমের বাঙালিদের মনেক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আতঙ্কে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় কেউ মুখ না খুললেও বঙ্গভাষীপ্রধান বরাক উপত্যকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করছেন। অধিকাংশের মন্তব্য, অসমের সমস্ত জনগোষ্ঠী উৎসবে নিজেদের ভাষায় ব্যানার, হোর্ডিং লাগায়। আপত্তি শুধু বাঙালিদের বেলায়। তৃণমূল নেত্রী প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন,নিন্দাজনক ঘটনা। দু’দিন আগে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল তেজপুরে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক শো-রুমে ঢুকে বাংলায় লেখা সমস্ত বিজ্ঞাপন সামগ্রী নষ্টকরে সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু)।
অসমিয়ায় লেখা তৃণমূল কংগ্রেসের শুভেচ্ছা বার্তা এক দিকে অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য দিকে রিপুণ বরা ও সুস্মিতা দেবের ছবি। শনিবার গুয়াহাটির খানাপাড়ায় সমস্ত হোর্ডিং নষ্ট করে দেওয়া হয়। প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি রিপুণ বরা বলেন, তৃণমূলের উত্থানে শঙ্কিত হয়েই কেউ এ কাজ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy