ললিত ঝাকেই বুধবারের সংসদ হানার মূলচক্রী বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। —ফাইল চিত্র।
লোকসভায় রংবোমা নিয়ে হানাদারির ঘটনায় এ বার প্রকাশ্যে এল পশ্চিমবঙ্গ যোগ। জানা গেল, বুধবার দুপুরে সংসদে রংবোমা ফাটানোর পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন যিনি, তিনি এক জন সমাজকর্মী এবং কাজ করতেন বাংলারই এক এনজিওতে।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই নেপথ্য ‘নায়কের’ এক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, বুধবার লোকসভায় ওই ঘটনা ঘটানোর পর হোয়াট্সঅ্যাপে সেই ঘটনার ভিডিয়োও পাঠিয়েছিলেন বাংলায় সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত ওই যুবক। যাঁর নাম ললিত ঝা।
ললিতকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। তবে তদন্তকারীরা ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছেন, এই ললিতই শুরু থেকে গোটা ঘটনাটি আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। এমনকি, সংসদে হানার ঘটনার আগে গত কয়েক দিন ধরে যখন হানাদারেরা দিল্লিতে এসে পৌঁছচ্ছিল, তখন তাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন ললিতই। পুলিশ সূত্রে খবর, সংসদের ভিতরে প্রবেশকারী সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি এবং সংসদের বাইরে থাকা নীলম সিংহ এবং অমল শিন্ডেকে গুরুগ্রামে ভিকি নামে এক জনের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন ললিত। পুলিশ এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, ভিকির বাড়িতেই হানাদারেরা আশ্রয় নিয়েছিল। আর এই ভিকি আদতে ললিতেরই বন্ধু।
ললিতের গুরুগ্রামের ওই বন্ধুর বিষয়ে এখনও বিশদ জানা যায়নি। তবে যে বন্ধুকে তিনি হোয়াট্সঅ্যাপে সংসদ হানার ভিডিয়ো পাঠিয়েছিলেন, সেই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম নীলাক্ষ আইচ। তিনি পশ্চিমবঙ্গের একটি এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। অনুমান, ললিত এই এনজিও-র সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।
নীলাক্ষ জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে তাঁকে সংসদে হানার ভিডিয়ো হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠান ললিত। সেই সময় নীলাক্ষ কলেজে ছিলেন। তাই তখনই ওই বার্তা দেখতে পাননি। পরে যখন তিনি দেখেন, ললিতের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কিসের জন্য এই প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও তার জবাবে ললিত কী জানিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট করেননি নীলাক্ষ। শুধু জানিয়েছেন, বাংলায় দীর্ঘ দিন ধরেই সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করেছেন ললিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy