সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভা বা রাজ্যসভার এক কক্ষের সাংসদদের মন্তব্য নিয়ে অন্য কক্ষে প্রশ্ন তোলা যায় না— আজ কংগ্রেসের সংসদীয় দলের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ সনিয়া গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে লোকসভায় এই যুক্তিতে আপত্তি তুললেন মোদী সরকারের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সনিয়া অবশ্য সেই মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে। বলেছিলেন, ওয়াকফ বিল সংসদে কার্যত ‘বুলডোজ়’ করা হচ্ছে।
রিজিজু এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সংসদে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। তারপরেও কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেত্রী বলছেন, সংসদে ‘বুলডোজ়’ করে বিল পাশ করা হচ্ছে। এর পরেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সনিয়ার নাম না করে এই মন্তব্যকে ‘ঠিক নয়’ এবং ‘সংসদীয় প্রথার বিরোধী’ বলে তকমা দেন। একই সময়ে বিজেপি সাংসদরা ‘সনিয়া গান্ধী মাফি মাঙ্গো’ বলে স্লোগান তোলেন।
এই ঘটনার পরে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, রাজ্যসভার সাংসদ কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে কী বলেছেন, তা নিয়ে লোকসভার স্পিকার কেন তাঁকে দোষারোপ করছেন!
লোকসভায় কংগ্রেসের উপদলনেতা গৌরব গগৈ বলেন, ‘‘এক কক্ষের সাংসদের মন্তব্য নিয়ে অন্য কক্ষে দোষারোপ করা যায় না। কারণ সেখানে তিনি জবাব দেওয়ার জন্য থাকেন না। এর আগে লোকসভায় বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তার আগে স্পিকার নিজে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, কিন্তু তাঁকে জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এখন অনেক কিছুই সংসদীয় প্রথা মেনে হচ্ছে না।’’ আজ কংগ্রেস জানিয়েছে, সনিয়া গান্ধীর ঘটনার পরে দলের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)