মৃত পড়ুয়া সিদ্ধার্থন। ছবি সংগৃহীত।
কেরলের ডাক্তারি পড়ুয়া সিদ্ধার্থন জেসে-এর আস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল সিবিআই। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হস্টেলের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল সিদ্ধার্থনের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, আত্মহত্যা করেছেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়া। কিন্তু মৃতের পরিবার বার বার দাবি করেছে, তাদের ছেলে হস্টেলে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন।
পরিবারের এই দাবির মান্যতা দিয়েছে পুলিশ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের হাতে পুলিশ যে তদন্তের নথি তুলে দিয়েছে তাতে র্যাগিংয়ের কথা রয়েছে। সিনিয়রদের র্যাগিং সহ্য করতে না পেরেই চরম পদক্ষেপ করেছেন সিদ্ধার্থন। আত্মহত্যা করার আগে টানা ২৯ ঘণ্টা সিনিয়র এবং সহপাঠীরা তাঁকে নানা ভাবে নিগ্রহ করেছেন, এমনই দাবি করেছে পুলিশ।
কেরলের ওয়েনাড়ে এক মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ছিলেন সিদ্ধার্থন। সেই কলেজের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। ১৮ ফেব্রুয়ারি হস্টেলের বাথরুম থেকে সিদ্ধার্থনের দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ র্যাগিংয়ের বিষয়টি জানতে পারে। পুলিশ সূ্ত্রে খবর, ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে পরের দিন দুপুর ২টো পর্যন্ত টানা র্যাগিং করা হয় সিদ্ধার্থনকে। সিনিয়রেরা তাঁকে শারীরিক নির্যাতনও করেছেন। বেল্ট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলেও প্রমাণ মিলেছে। এই ঘটনায় মানসিক অবসাদ গ্রাস করে সিদ্ধার্থনকে। তিনি এ-ও ভেবেছিলেন পড়াশোনা ছেড়ে বাড়ি চলে যাবেন। তবে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সিদ্ধার্থন।
মৃত পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ, কলেজের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সদস্যই সিদ্ধার্থনকে র্যাগিং করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ইতি মধ্যেই এই ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন। রবিবার পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy