মূলত সমাজের ধনী এবং অভিজাত সমাজেই এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ফাইল ছবি
পুরুষ বা স্ত্রী সঙ্গী বদল করে যৌনতার এক চক্রের হদিশ পেল কেরল পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাত জনকে তারা গ্রেফতার করেছে। রাজ্য জুড়ে এই চক্র ছড়িয়ে পড়েছে বলে পুলিশের আশঙ্কা। মূলত সমাজের ধনী এবং অভিজাত সমাজেই এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা পুলিশের। প্রথমিক তদন্তে অনুমান, অন্তত এক হাজার নারী-পুরুষ এই চক্রে জড়িত।
কারুকাচল থানায় এক মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এলে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী তাঁকে জোর করে অন্য পুরুষদের সঙ্গে সহবাসে বাধ্য করতে চাইছিলেন।
কায়ামকুলাম এলাকা থেকেও এই ধরনের অভিযোগ আগে এসেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, নেট মাধ্যম ব্যবহার করে একদল লোক প্রথমে টেলিগ্রাম অ্য়াপ বা মেসেঞ্জারে বিভিন্ন গ্রুপে ঢুকে পড়ে নারী-পুরুষদের সঙ্গে বন্ধু পাতিয়ে অনেককে এই কাজে প্ররোচিত করছে বলে অনুমান। যৌনজীবনের একঘেয়েমি কাটাতে এই ধরনের প্রস্তাব একটা বড় অংশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে বলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা পুলিশের।
চেঙ্গাচেরির ডেপুটি পুলিশ সুপার আর শ্রীকুমার জানান, অভিযুক্তেরা অধিকাংশই আলাপুঝা, কোট্টায়াম, এর্নাকুলামের মতো জেলার বাসিন্দা। অভিযোগকারী মহিলার স্বামী ছাড়া আরও ছ’জনকে পুলিশ গ্রফতার করেছে। তবে এর সঙ্গে যুক্তদের সংখ্যা অনেক বেশি বলে পুলিশ নিশ্চিত। সংখ্য়াটা এক হাজারের উপর বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy