কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ও মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ফাইল চিত্র।
কেরলের বাম সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাত জারি রয়েছে। সে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে অধ্যাদেশ জারি করেছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। শনিবার সেই খসড়া অধ্যাদেশ রাজভবনে পাঠিয়েছে কেরলের শাসকদল। এ নিয়ে এ বার মুখ খুললেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
কেরল সরকারের এই খসড়া অধ্যাদেশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠাতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপাল। শনিবার নয়াদিল্লিতে আরিফ মহম্মদ খান বলেন, ‘‘আমি এখনও অধ্যাদেশ দেখিনি। অধ্যাদেশ পড়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’’ বস্তুত, ওই খসড়া অধ্যাদেশে রাজ্যপাল সই করলেই তবে তা গ্রহণ করা হবে। তাই নিয়মমাফিকই খসড়া অধ্যাদেশ রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কেরলের রাজ্যপাল আরও বলেছেন, ‘‘যদি আমাকেই টার্গেট করা হয়ে থাকে, তা হলে এ ক্ষেত্রে আমি নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আগে বিষয়টি দেখব। যদি দেখি যে, আমাকে নিশানা করার উদ্দেশ্যেই এটা করা হয়েছে, তা হলে আমি কোনও মতামত পোষণ করব না। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাব।’’ রাজ্যপালের এই মন্তব্যের জেরে সে রাজ্যের সরকার বনাম রাজভবনের সংঘাত নতুন মাত্রা পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
খসড়া অধ্যাদেশে যদি রাজ্যপাল সই না করেন, সে ক্ষেত্রে বিধানসভায় আগামী অধিবেশনে বিল আনবে বলে জানিয়েছে কেরল সরকার। সে রাজ্যের মন্ত্রী এমবি রাজেশ জানিয়েছেন যে, সংবিধান মেনেই রাজ্য সরকার তার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এখন এটাই আশা করতে পারি যে, সবাই সংবিধান মেনে সবটা করবেন।’’ সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে খসড়া অধ্যাদেশ শনিবারই রাজভবনে পাঠিয়েছে বিজয়ন সরকার। ক্যুরিয়র মারফত ওই অধ্যাদেশ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে রাজভবন।
প্রসঙ্গত, দেশের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় যখন বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন, সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর একাধিক বিষয়ে বিতর্ক বাধত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়েও চাপান-উতোর চলেছিল রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে। এর পর আইন সংশোধন করে রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরিয়ে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এ নিয়ে বিলও পাশ হয় বিধানসভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy