ফাইল চিত্র।
কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের ভবন ফের সরকারের এস্টেট দফতরের হাতে তুলে দিল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। সেই সঙ্গে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের আপাতত কোনও আইনি অস্তিত্ব নেই। ফলে কোনও কমিটিই সেই ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। ক্লাবের নাম ব্যবহার করে কোনও বার্তা পাঠানোর বা পদক্ষেপ করার অধিকারও কারও নেই।
সম্প্রতি কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের নথিবদ্ধকরণ পুননর্বীকরণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। ফলে ক্লাবের কমিটির নির্বাচন প্রক্রিয়াও ঝুলে যায়। বিষয়টিকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ হিসেবেই দাবি করেন উপত্যকার সাংবাদিকদের একাংশ। শনিবার সশস্ত্র পুলিশের সাহায্যে ক্লাবের ‘দখল’ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে। সেই সদস্যদের কয়েক জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হয়। ক্লাবের গেটে আপাতত তালা দিয়ে দেয় নয়া কমিটি। তাদের তরফে দাবি করা হয়, নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তারা বেআইনি ভাবে ক্লাব ‘দখল’ করে রেখেছিল। বিষয়টি নিয়ে সরব হয় অন্য গোষ্ঠী। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে এডিটর্স গিল্ড। ওমর আবদুল্লার মতো উপত্যকার রাজনীতিকেরা দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় মদতে প্রেস ক্লাবে বিদ্রোহ বা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে একটি গোষ্ঠী।
আজ প্রশাসনের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর প্রেস ক্লাব এখন আর নথিবদ্ধ সংগঠন নয়। নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ ২০২১ সালের ১৪ জুলাই শেষ হয়ে গিয়েছে। ক্লাবের নথিবদ্ধকরণ পুনর্নবীকরণ না করিয়ে ও নয়া কমিটি নির্বাচন না করে ক্লাবের কয়েক জন সদস্য নিজেদের ক্লাবের পরিচালক বলে পরিচয় দিচ্ছিলেন। সেটা বেআইনি। প্রশাসন বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, এর মধ্যে সদস্যদের অন্য একটি গোষ্ঠী একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করে ক্লাবের পরিচালন ক্ষমতা ‘দখল’-এর ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের এখন কোনও আইনি অস্তিত্ব নেই। ফলে অন্তর্বর্তী কমিটিরও বৈধতা নেই। কেউই ক্লাবের নাম ব্যবহার করে বার্তা পাঠাতে বা পদক্ষেপ করতে পারেন না। বিবদমান দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলেও ইঙ্গিত পেয়েছে প্রশাসন। ফলে প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপ করা জরুরি হয়ে উঠেছিল।
কাশ্মীর প্রেস ক্লাবকে দেওয়া ভবন ফের এস্টেট দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হল। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমের অধিকারে বিশ্বাস করে। সাংবাদিকদের পেশাদারি, প্রশিক্ষণমূলক, সামাজিক, বিনোদনমূলক প্রয়োজনের জন্য একটি স্থানের প্রয়োজনও বোঝে। প্রশাসনের আশা, নিয়ম মেনে সাংবাদিকদের একটি নথিবদ্ধ সংগঠন তৈরি হবে। তারা প্রেস ক্লাবের ভবন ফের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য
এস্টেট দফতরের কাছে আবেদন জানাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy