কর্নাটকে সন্তান জন্মের পর আত্মঘাতী তরুণী। —প্রতীকী চিত্র।
অফিসে কাজের বিপুল চাপ। তার সঙ্গে সংসারের কাজের ভারসাম্য রাখতে না পেরে অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী। শেষমেশ তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন। শ্বশুরবাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তরুণীর মা জানিয়েছেন, সংসার এবং অফিসের কাজ একসঙ্গে সামলাতে না পেরেই এই পদক্ষেপ করেছেন কন্যা।
মৃতার নাম প্রসন্না (২৯)। তিনি কর্নাটকের উডুপীর বাসিন্দা। তাঁর স্বামী বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। ফলে বাড়িতে থাকতেন না। শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যের সঙ্গেই থাকতেন তরুণী। তিনি তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন, মা হওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। আচমকা সন্তানের জন্ম দিয়ে তাই হিমশিম খাচ্ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে হয় তরুণীর। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। সন্তানের জন্মের সময়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়েছিলেন। বর্তামানে তাঁর কন্যার বয়স ১০ মাস মাত্র। সন্তানের জন্মের পর থেকেই অফিসের কাজের সঙ্গে পারিবারিক জীবন মানিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। নিজের মায়ের কাছে ফোন করে সে বিষয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছেন একাধিক বার। তবে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তরুণীর কোনও অভিযোগ ছিল না। তাঁর মা জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর কন্যাকে আগলেই রাখতেন। তরুণীর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy