কর্নাটকে ১৪ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ স্পিকারের। ছবি: পিটিআই
ফের নতুন দিকে বাঁক নিল কর্নাটকের রাজনৈতিক টানাপড়েন। রবিবার আরও ১৪ ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের সদস্য পদ খারিজ করে দিলেন স্পিকার কেআর রমেশ কুমার। ফলে, কর্নাটক বিধানসভায় এখন ম্যাজিক ফিগার হয়ে দাঁড়াল ১০৫। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তির হাওয়া বইছে বিজেপি শিবিরে। এর মধ্যেই আগামিকাল আস্থাভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
সদস্যপদ খারিজ হওয়া বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ১১ জন ও জেডিএসের ৩ জন বিধায়ক। আগামী বিধানসভা ভোট পর্যন্ত তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান রমেশ কুমার। এর আগেও, বৃহস্পতিবার, ৩ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করেন তিনি। ফলে, এই নিয়ে মোট ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে গেল।
এ দিন স্পিকার রমেশ বলেন, ‘‘আমি আমার বিচারবোধ অনুযায়ী কাজ করেছি। এ দিন থেকে ওই বিধায়করা আর বিধান সৌধে ঢুকতে পারবেন না। তাঁরা উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’’ কিন্তু, উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার নির্দেশ সংবিধান বিরোধী নয় কি? এর জবাবে স্পিকার বলেন, ‘‘এ নিয়ে ওই বিধায়করা আদালতে যেতে পারেন।’’ গত ২৫ জুলাই যে ৩ জন বিধায়কের সদস্য পদ খারিজ করা হয়েছে তাঁরা স্পিকারের নির্দেশের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘সদস্য পদ খারিজের ৭দিন আগে নোটিস দেওয়া নিয়ম হলেও তা মানা হয়নি।’’ আগামী সোমবার শীর্ষ আদালতে যাচ্ছেন এ দিনের ১৪ বিধায়কও।
নতুন করে, ১৪ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কর্নাটক বিধানসভার সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াল ২০৮। ফলে, এখন ম্যাজিক ফিগার হয়ে দাঁড়াল ১০৫। ঠিক সেই সংখ্যাই এখন বিজেপির কাছে রয়েছে। ফলে, স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত আস্থাভোটের আগে বিজেপি শিবিরকে বেশ কিছুটা স্বস্তিতেও রাখল। মোট ১৮জন বিধায়ক (কংগ্রেসের ১৩ জন, জেডিএসের ৩ জন ও ২ নির্দল বিধায়ক) ইস্তফা দেওয়ার পরই সঙ্কট তৈরি হয় কর্নাটক বিধানসভায়। সে সময় আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস ও জেডিএসের জোট সরকার। কিন্তু, ‘বিদ্রোহী’দের নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছিলেন স্পিকার।
আরও পড়ুন: চেয়েও ট্রাম্পের সময় পাচ্ছেন না মোদী
কর্নাটকে নতুন করে সরকার তৈরি হলে নতুন স্পিকার মনোনীত হবেন। ততদিন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন রমেশই। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘আমি আমার কর্তব্য পালন করে যাব। ’’
গোটা পরিস্থিতির নজর রেখেই এ দিনই বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। আস্থাভোট জয়কেই এখন পাখির চোখ করেছেন ইয়েদুরাপ্পা। নতুন স্পিকার আসার আগে অর্থবিল পাস করিয়ে নেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। কারণ, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সে রাজ্যে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ পাশ করাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গড়া না গেলে রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৪৪২ টাকায় কলা বেচে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার মুখে পাঁচ তারা হোটেল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy