তাঁর ‘মন্তব্য’ ঘিরে সোমবার সংসদ উত্তাল করেছেন বিজেপি সাংসদেরা। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা। কিন্তু সংবিধান সংশোধন করে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ চালু করা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, তা সরাসরি অস্বীকার করলেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার।
শিবকুমার সোমবার বিকেলে বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি কখনও সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার কথা বলিনি। বিজেপি নেতাদের এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’’ পড়শি রাজ্য তামিলনাড়ুতে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতিক্রমে ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল কয়েক বছর আগে। সে দিকে ইঙ্গিত করে শিবকুমারের বক্তব্য, ‘‘আমি শুধু এমন কিছু ঘটনার কথা বলেছি, যেখানে আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সংবিধানিক ব্যবস্থার সংশোধন হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদেরা সোমবার অভিযোগ করেন, শিবকুমার সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, ‘কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সংবিধান সংশোধন করে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে’। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য ‘সংবিধানবিরোধী’ বলে অভিযোগ করে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানান তাঁরা। কংগ্রেস সাংসদেরাও পাল্টা গন্ডগোল শুরু করায় সভায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। তাঁর আবেদন সত্ত্বেও হট্টগোল চলতে থাকায় সাময়িক ভাবে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড়।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, কর্নাটক সরকার সম্প্রতি সে রাজ্যে সরকারি ঠিকাদারির বরাতে মুসলিমদের জন্য চার শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করেছে। এর পরই উত্তেজনার পারদ চড়ে। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা সোমবার রাজ্যসভায় বলেন, ‘‘কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার বাবাসাহেব অম্বেডকরের চেতনায় আঘাত হেনেছেন। অম্বেডকর রচিত ভারতীয় সংবিধানে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, দেশে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চালু করা যাবে না। কিন্তু কংগ্রেস দেশে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চালু করতে সক্রিয় হয়ছে।’’ এ সময় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা খড়্গে প্রতিবাদ করে বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধানকে ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি।’’