এইচডি কুমারস্বামী।
কর্নাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোটের চরম সঙ্কটের মধ্যে শেষ ধাক্কা দিলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। আগামিকাল এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারের আস্থা ভোটের আগে আজ কর্নাটকের একমাত্র বিএসপি বিধায়ক এন মহেশ জানিয়ে দিলেন, দলের হাইকম্যান্ডের নির্দেশে সোম ও মঙ্গলবার বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন না তিনি। আস্থা ভোটে অংশগ্রহণও করবেন না। এই দু’দিন কাটাবেন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে।
কর্নাটকে ভোটের সময়ে জেডিএসের সঙ্গে জোট গড়ে লড়েছিল বিএসপি। পরে তারা সরকারে না গেলেও কুমারস্বামীর সমর্থন করে। কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৬ জন বিধায়কের ইস্তফা, দু’জন নির্দল সদস্যের শাসক জোট ছেড়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়া, এমনকি এ সবের পরেও কংগ্রেসের এক বিধায়কের মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা নিয়ে শাসক জোটে যখন টালমাটাল অবস্থা— তখনই কুমারস্বামী সরকারকে চরম ধাক্কা দিলেন মায়াবতী।
এই পরিস্থিতিতেই বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা আজ দাবি করেছেন, আগামিকালই কুমারস্বামী সরকারের শেষ দিন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিধানসভার স্পিকার, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ও কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া জানান, সোমবার আস্থা ভোট হবে। ফলে আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত, আগামিকালই কর্নাটকের সব অনিশ্চয়তার অবসান হবে। কালই কুমারস্বামী সরকারের শেষ দিন।’’
২২৫ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় (এক জন মনোনীত সদস্য) কুমারস্বামীর দিকে ছিলেন ১১৮ জন বিধায়ক। এর মধ্যে শাসক জোটের যে ১৫ জন বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন, আদালতের অন্তর্বর্তী রায়ের পরে তাঁরা যদি আগামিকাল বিধানসভায় হাজির না হন এবং বিএসপি বিধায়ক ভোট দিতে না আসেন, সে ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে থাকতে পারে ১০২ জনের সমর্থন। কংগ্রেসের পদত্যাগী বিধায়ক রামলিঙ্গম রেড্ডি আবার দলে ফিরে আসতে পারেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর। আর দু’জন নির্দলের সমর্থন পেলে বিজেপির দিকে থাকার কথা ১০৭ জন বিধায়কের সমর্থন। তেমন পরিস্থিতিতে কুমারস্বামী সরকারের পতন এবং বিজেপির বিকল্প সরকার গড়ার রাস্তা প্রশস্ত হবে।
তবে কয়েক দিনের চূড়ান্ত নাটকের পরে আগামিকাল কর্নাটক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাও দেখার। আগামিকালই বিকেল পাঁচটার মধ্যে আস্থা ভোট করাতে কুমারস্বামী সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিধানসভার নির্দল দুই বিধায়ক এইচ নাগেশ এবং আর শঙ্কর। এ দিনই কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের অভিযোগ, সরকার ফেলতে ‘অপারেশন কমলা’-র জন্য এক হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বিধায়কদের ২০-৩০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এল, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy