Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kapil Sibal

ভোটারদের বুদ্ধি, বিবেচনাকে সম্মান করুন, কেরল-মন্তব্যে রাহুলকে আক্রমণ সিব্বলের

রাহুলকে নিশানা করলেও দলকে বাঁচাতে ‘ভারসাম্যে’র নীতি বজায় রাখতে ভোলেননি সিব্বল। বিজেপি-র বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলেছেন তিনি।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:০৬
Share: Save:

ফের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসিদের নিশানায় দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী। রাহুলের কেরল-মন্তব্য নিয়ে এ বার তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুললেন কপিল সিব্বল। বললেন, ‘‘ভোটদাতাদের বিচক্ষণতাকে খাটো করবেন না। তাঁরা জানেন কাকে ভোট দিতে হবে এবং কেন ভোট দিতে হবে।’’

রাহুলকে নিশানা করলেও বিজেপি-র আক্রমণ থেকে দলকে বাঁচাতে ‘ভারসাম্যে’র নীতি বজায় রাখতে ভোলেননি সিব্বল। রাহুলের কেরল-মন্তব্য নিয়ে গেরুয়া শিবিরের তরফে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ উঠলেও তাকে ‘হাস্যকর’ বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে, রাহুল নিজেই তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে পারেন বলেও জানিয়েছেন সিব্বল। তাঁর কথায়, ‘‘তিনি (রাহুল গাঁধী) যা বলেছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করার আমি কেউ নই। কোন পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সে কথা বলেছেন, তার ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারেন... কিন্তু দেশের ভোটারদের শ্রদ্ধা করতে হবে। তাঁদের বিচক্ষণতাকে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। তাঁরা জানেন কাকে ভোট দিতে হবে এবং কেনই বা দিতে হবে।’’

কেরলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটি দলীয় প্রচারসভায় রাহুলের মন্তব্য ঘিরে জলঘোলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার তিরুঅনন্তপুরমের সভায় রাহুল বলেছিলেন, ‘‘গত ১৫ বছর ধরে আমি উত্তর ভারতের সাংসদ। আমি বিভিন্ন ধরনের রাজনীতির সঙ্গেই পরিচিত। তবে কেরলের আসাটা অত্যন্ত সতেজ অনুভূতি দেয়। আমার মনে হয়, এখানকার মানুষ যে কোনও বিষয়ের খুঁটিনাটিতে আগ্রহী, তাঁরা শুধুমাত্র ভাসা-ভাসা কথা বলেন না।’’

রাহুলের এই মন্তব্যের পরই তাঁকে নিশানা করতে শুরু করেন একের পর এক বিজেপি নেতা। উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের মধ্যে রাহুল বিভাজনের রাজনীতি করছেন, এমন অভিযোগ তোলেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশে বিষোদ্গারের জন্যই যে ভোটাররা তাঁকে অমেঠীতে স্বীকার করেননি, তা-ও দাবি করে বিজেপি। আক্রমণের প্রথম সারিতে ছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘দিন কয়েক আগে তিনি (রাহুল) উত্তর-পূর্ব ভারত গিয়ে সেখানে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছিলেন। এ বার দক্ষিণ ভারতে গিয়ে উত্তরের বিরুদ্ধে বিষ উদ্গারণ করছেন। বিভাজনের রাজনীত আর কাজে দেয় না... মানুষজন এ ধরনের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে’।

শুধুমাত্র নড্ডাই নন, কেরলের ওয়েনাড কেন্দ্রের সাংসদ রাহুলকে আক্রমণ করে আসরে নামেন এস জয়শঙ্কর, হরদীপ সিংহ পুরি, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং কিরেণ রিজিজুর মতো তাব়ড় বিজেপি সাংসদ। অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে হেরে রাহুল কেরলে আশ্রয় নিয়েছেন, এমনটাও বলতে শুরু করেন তাঁরা। এর পরই রাহুলের পক্ষ নিয়ে মুখ খোলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। বিজেপি-র বিরুদ্ধে এ নিয়ে রাজনীতির করার অভিযোগ করেন তিনি। নিম্নমুখী জিডিপি তথা দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক দুর্দশার মতো প্রকৃত সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই এ ধরনের আক্রমণ বলেও দাবি করেন সুরজেওয়ালা।

এক সময় কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতা আনন্দ শর্মা এবং সিব্বলেরাও দলের পক্ষে মুখ খোলেন। রাহুলকে আক্রমণ করলেও সিব্বল বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস বিভাজনের রাজনীতি করছে, বিজেপি-র এই বক্তব্য হাস্যকর। ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই সরকার বিভাজনের রাজনীতি করেছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy