গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং তাঁর দুই উপমুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন আগেই। এ বার মধ্যপ্রদেশে গঠিত হল নয়া মন্ত্রিসভা। সেখানে ঠাঁই পেলেন একদা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন কৈলাস। দাবি করেছিলেন, দু’শোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। কিন্তু নীলবাড়ির লড়াইয়ে একশো আসনও পায়নি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। যদিও কৈলাসের ‘পর্যবেক্ষণেই’ বিজেপির আসন ৩ থেকে বেড়ে ৭৭ হয়েছিল।
এ বার মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে ইনদওর-১ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন কৈলাস। যদিও তাঁর ছেলে, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ইনদওর-৩ কেন্দ্রে জয়ী আকাশকে টিকিট দেওয়া হয়নি। গত ১১ ডিসেম্বর বিজেপি হাইকমান্ড মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অনগ্রসর (ওবিসি) নেতা তথা উজ্জয়িনী-দক্ষিণ কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক মোহনকে বেছে নিয়েছিল।
সেই সঙ্গে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তফসিলি জাতির নেতা জগদীশ দেবড়া এবং দলের ব্রাহ্মণ ‘মুখ’ রাজেন্দ্র শুক্লকে বেছে নেওয়া হয়। ১৩ ডিসেম্বর তাঁরা শপথ নিয়েছিলেন। সোমবার শপথ নিয়েছেন মোট ১৮ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ১০ জন প্রতিমন্ত্রী। কৈলাস ছাড়া সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম মোদী মন্ত্রিসভার সদ্যপ্রাক্তন সদস্য তথা সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে নরসিংহপুর কেন্দ্রে জয়ী প্রহ্লাদ পটেল।
প্রসঙ্গত, এ বারের বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। গত বারের চেয়ে ৫৪টি বেশি। মোট ভোটের প্রায় ৪৯ শতাংশ। যা ২০০৩ সালের চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে, ৬৬টি আসনে জেতা কংগ্রেস ভোট পেয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশের কাছাকাছি। আট শতাংশের ওই ভোটের পার্থক্যে কংগ্রেসের চেয়ে ৯৭টি আসন বেশি জিতেছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy