প্রতীকী ছবি।
এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি থেকে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিল দুই কিশোর-কিশোরী। রাস্তায় তাদের আটকায় কয়েক জন। শুরু হয় হেনস্থা। তারা দু’জনে ভিন্ন ধর্মের জানতে পেরে চলে প্রহার। তার পর দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। যেখানে ‘মেয়েটির ধর্ম পরিবর্তন করানোর চেষ্টা’ চালানোর অভিযোগে তার বাবার করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে বিতর্কিত ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনে গ্রেফতার করা হয় কিশোরটিকে। গত ১৫ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের এই ঘটনায় কীভাবে একজন নাবালককে এক সপ্তাহের উপরে জেলে বন্দি করে রাখা হচ্ছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়, মেয়েটিকে আদতে অপহরণ করা হয়েছিল। কোনও ভাবে সে পালিয়ে আসে। তাদের আরও দাবি, ছেলেটির বয়স ১৮। তার পরিবারের যদিও দাবি সে এখনও নাবালক। এর জবাবে এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘নাবালক হলে তার প্রমাণ দেখাক পরিবার। আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে ছেলেটিকে।’’
ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ওই দলিত কিশোরীটি জানিয়েছে, তার বন্ধু নির্দোষ। একই দাবি মেয়েটির মায়েরও। মেয়েটির বাবারও দাবি, তিনি মেয়েকেই সমর্থন করছেন। তা হলে তিনি এফআইআর করলেন কেন? এই প্রশ্ন ঘিরেই বাড়ছে রহস্য। কারও কারও কাছে তিনি স্বীকার করেছেন, পুলিশের চাপেই তিনি ওই বয়ান দিয়েছেন। এ দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিয়োয় কিশোরীটির বাবাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘একটি মুসলিম ছেলে আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সে কারণেই পুলিশে জানিয়েছিলাম। কারও তরফে কোনও চাপ সৃষ্টির কোনও গল্পই নেই এখানে। মিডিয়ায় যা ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।’’ যদিও কাকে এই কথাগুলি বলছেন তিনি এবং কে তা রেকর্ড করেছে তার কোনওটাই স্পষ্ট নয়।
এ দিকে কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝতেই পারছেন না কিশোরটির মা। মেয়েটির বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি এক কামরার বাড়িতে বাস ওই কিশোরের পরিবারের। চার ভাই-বোনের মধ্যে সেই-ই সবার ছোট।
বেশ অনেক দিন আগেই কাজ নিয়ে জলন্ধরে চলে গিয়েছিল সে। মায়ের শরীর খারাপ শুনে কিছু দিন আগেই বাড়ি ফিরেছিল। ঘটনার দিন মাকে এক বন্ধুর জন্মদিনে যাচ্ছে বলেই বেরিয়েছিল সে। তার ফেরার আশাতেই এখন দিন গুনছেন ওই মহিলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy