Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যায় ধৃত কিশোরের বিচার হবে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেই

নৃশংস ওই হত্যাকণ্ডের সাজা নাবালক বিচার আইনে হওয়া উচিত নয়, এমনটাই মনে করছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড।  জুভেনাইল আদালতে ছেলেটি দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা হতে পারে। তা-ও সেই সময়টুকু সংশোধন হোমে থাকতে হবে তাকে। অন্য দিকে, প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তার বিচার হলে সাজা আরও অনেক কঠিন হবে।

প্রদ্যুম্ন খুনে ধৃত ছাত্র। (ইনসেটে প্রদ্যুম্ন ঠাকুর)। ফাইল চিত্র।

প্রদ্যুম্ন খুনে ধৃত ছাত্র। (ইনসেটে প্রদ্যুম্ন ঠাকুর)। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:২৬
Share: Save:

প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যাকাণ্ডে ধৃত কিশোর পড়ুয়ার বিচার প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই করা হবে। আদালতে নিয়মিত হাজিরাও দিতে হবে তাকে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড।

গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যার অভিযোগে ওই স্কুলেরইএক ছাত্রকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেরার মুখে বছর ষোলোর ওই কিশোর খুনের কথা স্বীকারও করেছিল বলে জানায় সিবিআই।

নৃশংস ওই হত্যাকণ্ডের সাজা নাবালক বিচার আইনে হওয়া উচিত নয়, এমনটাই মনে করছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। জুভেনাইল আদালতে ছেলেটি দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা হতে পারে। তা-ও সেই সময়টুকু সংশোধন হোমে থাকতে হবে তাকে। অন্য দিকে, প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তার বিচার হলে সাজা আরও অনেক কঠিন হবে।

জুভেনাইল বোর্ড জানিয়েছে, ওই হত্যা মামলায় অভিযুক্তকে সাবালক হিসেবে ধরে নিয়ে তার বিচার চলবে। তাই মামলাটি জুভেনাইল আদালত থেকে গুরুগ্রাম দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

ছ’মাস কারাদণ্ড শেষে ছাড়া পেলেন বিচারপতি কারনান

রাস্তায় থুতু ফেললেই খবরের কাগজে ছবি!

গত ৮ সেপ্টেম্বর রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে শৌচাগারের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার গলার নলি কাটা ছিল। খুনের অভিযোগে স্কুলেরই এক বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, যৌন নিগ্রহের পর খুন করা হয় প্রদ্যুম্নকে। কিন্ত পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, যৌন নিগ্রহের কোনও প্রমাণ মেলেনি সাত বছরের ওই পড়ুয়ার শরীরে। পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, নিজের বাবার সামনে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ওই কিশোর। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, শিক্ষক-অভিভাবক বৈঠক পিছোতে স্কুলে ছুটি ঘোষণার ছক কষেছিল সে। আর সেই কারণেই ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্নকে।

নির্ভয়া কাণ্ডের পরে ২০১৫ সালে বদলানো হয় দেশের জুভেনাইল জাস্টিস আইন। নয়া আইন অনুযায়ী, ১৬-১৮ বছরের কেউ যদি ধর্ষণ বা খুনের মতো নৃশংস কোনও অপরাধ করে, তা হলে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তারও বিচার হতে পারে। যেহেতু ওই ছাত্রের বয়স ১৬, তাই তার বিচার প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই হওয়া উচিত বলে মনে করছে জুভেনাইল বোর্ড।

বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রদ্যুম্নের বাবা বরুণ ঠাকুর। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘বিচার বিভাগের এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি। আমি জানি এই যাত্রাপথ খুব লম্বা। তবে আমরা শেষ অবধি যাব। শুধু আমার সন্তান নয়, প্রদ্যুম্নের মতোই আরও অনেকের জন্য ন্যায়বিচার চাই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE