Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Rahul Gandhi

‘মোদী’ মামলায় রাহুলের আবেদনের শুনানি থেকে সরে গেলেন গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি

মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে সাজা দিয়েছিল। ২০ এপ্রিল তা বহাল রাখে সুরাতের দায়রা আদালত। হাই কোর্টে এ নিয়ে আবেদন জানিয়েছেন রাহুল।

Justice Gita Gopi of Gujarat HC recuses from hearing Rahul Gandhi\\\'s appeal against sessions court order in defamation case

‘মোদী’ পদবি অবমাননার মামলায় গুজরাত হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
গান্ধীনগর শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৫৯
Share: Save:

মোদী পদবি অবমাননার মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি গীতা গোপী। সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং সুরাত দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আবেদনের শুনানিতে বুধবার অংশ নেননি তিনি। বিচারপতি গোপী মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পদবি-মন্তব্যে দোষী ঘোষণা এবং সাজা কার্যকরের জন্য সুরাত দায়রা আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মঙ্গলবার গুজরাত হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন রাহুল। আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি গোপীর এজলাসে নথিভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু বুধবার রাহুলের আইনজীবী পিএস চম্পানেরী সুরাত দায়রা আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাহুলের দায়ের করা আবেদনের দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতেই বিচারপতি গোপী বলেন, ‘‘আমার কাছে নয়।’’ হাই কোর্ট সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে শুনানির জন্য রাহুলের আবেদন নথিভুক্ত হতে পারে।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। তবে ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক।সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।

এর পর রাহুল তাঁকে দোষী ঘোষণা এবং সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে সাজা কার্যকরের রায় বহাল রাখেন। ফলে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি, রাহুলের জেলযাত্রার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। দায়রা আদালতের সেই নির্দেশকেই হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন রাহুল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE