জোশীমঠে ভয়াবহ ভূমিধসের কারণে রাতারাতি বাড়িছাড়া হয়েছে প্রায় ৬০০ পরিবার। ফাইল চিত্র ।
সব জরুরি বিষয় নিয়েই কেন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে? এই কথা জানিয়ে মঙ্গলবার জোশীমঠ নিয়ে দ্রুত শুনানিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। ১৬ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
জোশীমঠে ভয়াবহ ভূমিধসের কারণে রাতারাতি বাড়িছাড়া হয়েছে প্রায় ৬০০ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ক্ষতিপূরণ এবং আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। জোশীমঠের বিপর্যয়ে সুপ্রিম কোর্ট যাতে হস্তক্ষেপ করে, জনস্বার্থ মামলাটিতে সেই অনুরোধও জানানো হয়েছিল। মামলাটি করেন জ্যোতিষ পীঠের ৪৬তম শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার।
তবে এই মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি না হলেও যুদ্ধ তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে জোশীমঠে। ইতিমধ্যেই ভূমিধস রুখতে শহরের দু’টি হোটেল গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে একটি হোটেল ‘মালারি ইন’ ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ)-কে মোতায়েন করা হয়েছে। এই হোটেল ভেঙে ফেলার পর ভেঙে ফেলা হবে হোটেল ‘মাউন্ট ভিউ’-ও।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি থেকেই গাড়োয়াল হিমাবহের ছোট জনপদ জোশীমঠে জায়গায় জায়গায় ধস নামে। ফাটল ধরছে একের পর এক বাড়িতে। রাস্তাতেও যেখানে সেখানে ফাটল ধরতে দেখা যাচ্ছে। মাটির তলা থেকে উঠে আসছে অদ্ভুত শব্দ। এর পরই জোশীমঠের আতঙ্কিত স্থানীয়রা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে পথে নামেন। আপাতত ওখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ চলছে। গত রবিবারই জোশীমঠকে ‘বসবাসের অনুপযোগী’ বলেও ঘোষণা করে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সিংধর জৈন, মাড়ওয়ারি, জেপি কলোনির মতো শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে প্রতি দিন মাটি বসে গিয়ে নতুন করে ফাটল দেখা দিচ্ছে ঘরবাড়িতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy