ফাইল চিত্র।
ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজধানীর রাস্তা ক’মাস আগেই ছিল উত্তাল। এমনকি বছর দুয়েকের জন্য সে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করে দেওয়ারও নিদান দিয়েছিলেন শাসক দলের নেতারা।
সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকে দুরমুশ করতে আর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে চড়াও হয়েছিল দিল্লি পুলিশ। গোষ্ঠী সংঘর্ষের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এখানকার একাধিক পড়ুয়াকে।
অথচ দেশের উজ্জ্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারি ক্রমতালিকায় প্রথম সারিতে জায়গা করে নিল এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ই। আইআইএস-বেঙ্গালুরুর পরেই দেশের দ্বিতীয় সেরা বিশ্ববিদ্যালয় জেএনইউ। আর ২০১৬ সালে চালু হওয়া ক্রম তালিকায় এই প্রথম বার প্রথম দশে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় বর্গের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রোহিত ভেমুলার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ও।
উৎকর্ষের বিচারে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কে কোথায়, ২০১৬ থেকে প্রতি বছর তার ক্রমতালিকা প্রকাশ করে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বিচারের মাপকাঠি হল, পরিকাঠামো, পড়াশোনার মান, গবেষণার উৎকর্ষ, সমাজের সব শ্রেণিকে শিক্ষার স্রোতে নিয়ে আসার চেষ্টা, পাশ করা পড়ুয়াদের কেরিয়ার ইত্যাদি। করোনার কারণে এ বার তালিকা প্রকাশ হল দেরিতে।
আরও পড়ুন: এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং-এ এগিয়ে কলকাতা, ঠিক পরেই যাদবপুর
৩,৭৭০টি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে জমা দেওয়া ৫,৮০৫টি আবেদনের ভিত্তিতে সার্বিক ভাবে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে আইআইটি-মাদ্রাজ। ম্যানেজমেন্টে প্রথম তিনে তিন ‘পুরনো’ আইআইএম— আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু ও কলকাতা। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম তিনে আইআইটি মাদ্রাজ, দিল্লি ও বম্বে। মেডিক্যালে প্রথম তিন এমস, চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর এবং ভেল্লোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ। কলেজে দিল্লির জয়-জয়কার। প্রথম চারে মিরান্ডা হাউস, লেডি শ্রীরাম কলেজ ফর উইমেন, হিন্দু কলেজ এবং সেন্ট স্টিফেন্স। আইনে শীর্ষে কর্নাটকের ন্যাশনাল ল স্কুল। স্থাপত্যবিদ্যায় প্রথম দু’য়ে দুই আইআইটি— খড়্গপুর ও রুরকি। এ বারই প্রথম তালিকা বার হওয়া ডেন্টালে প্রথম দিল্লির মৌলানা আজাদ ইনস্টিটিউট অব ডেন্টাল সায়েন্সেস। ফার্মাসির শীর্ষে জামিয়া হামদর্দ।
তবে দিনের শেষে সব থেকে বেশি আলোচনা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার উপরের দিকে জেএনইউ-জামিয়ার ঠাঁই পাওয়া নিয়েই। সার্বিক তালিকাতেও তাদের স্থান যথাক্রমে ৮ এবং ১৬ নম্বরে। জামিয়ার উপাচার্য নাজমা আখতারের কথায়, “এত প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে প্রথম দশে উঠে আসা সহজ কথা নয়।” আর জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ বলেন, “‘জেএনইউ বন্ধ করা হোক’, ‘দেশদ্রোহী’ জাতীয় কথার বিরুদ্ধে ফের রুখে দাঁড়িয়েছি আমরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy