মহুয়া মৈত্র। — ফাইল ছবি।
প্রাক্তন বান্ধবীর দিকে এ বার নতুন তির ছুড়লেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। বস্তুত, তাঁর তোলা ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সাংসদপদ হারিয়েছেন মহুয়া। এ বার সেই প্রাক্তন বান্ধবের নয়া অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে তিনি তাঁর অন্য আর এক প্রাক্তন বান্ধবের উপর নজরদারি চালাতেন!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সিবিআইয়ের কাছে জমা পড়া অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই দাবি করেছেন, মহুয়া নাকি তাঁর প্রাক্তন বান্ধবের ‘কল ডিটেল রেকর্ডস’ (সিডিআর) বেআইনি ভাবে হস্তগত করেছিলেন। কারণ, মহুয়ার সন্দেহ ছিল, তাঁর প্রাক্তন বান্ধবের সঙ্গে এক জার্মান মহিলার প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ওই মহিলা একটি বহুজাতিক সমাজমাধ্যমে উচ্চপদে কর্মরত বলেও দাবি দেহাদ্রাইয়ের।
সিডিআর বলে দাবি করে একটি তালিকা, কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশট জুড়ে যে অভিযোগপত্র জমা করেছেন মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব দেহাদ্রাই, তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘আমি জেনে হতচকিত হয়ে যাই যে, মহুয়া বাংলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সহায়তা নিয়ে তাঁর প্রাক্তন বান্ধবের যাবতীয় ‘সিডিআর’ করায়ত্ত করেছেন, যেখানে প্রাক্তন বান্ধবের সঙ্গে কারা কারা যোগাযোগে ছিলেন, তার সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে! এ ছাড়াও সারা দিন ধরে প্রাক্তন বান্ধবের ফোনের অবস্থানও ছিল তাঁর কাছে।’’
দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গে একদা সম্পর্কে ছিলেন মহুয়া। কিন্তু তা বেশি দিন টেকেনি। দেহাদ্রাই তাঁর অভিযোগে আরও দাবি করেছেন যে, গোটা ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি যখন মহুয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তখন জবাব এসেছিল, সংসদের সদস্য হিসাবে কিছু বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী তিনি। তার মধ্যে রয়েছে, যাঁর উপর ইচ্ছে তাঁর উপর নজর রাখা। প্রাক্তন বান্ধবের আরও দাবি, মহুয়া তাঁকে জানিয়েছিলেন, বাংলার কয়েক জন আইপিএস আধিকারিক তাঁর এতই ‘বাধ্য’ যে, তাঁর কোনও দাবিই তাঁরা ফেলতে পারেন না। অভিযোগপত্রে নিজের প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন দেহাদ্রাই। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর দাবি, ‘‘এমন বিশ্বাস করার দৃঢ় কারণ রয়েছে যে, মহুয়া নিজের পরিচিতি ব্যবহার করে বাংলার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দিয়ে তাঁর উপর বেআইনি নজরদারি চালাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy