স্থানীয় প্রশাসন সবুজ সঙ্কেত না দেওয়া পর্যন্ত উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা নয়। বুধবার রাজ্যসভায় এ কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শীতকালীন অধিবেশনে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় আগে থেকেই তৈরি ছিলেন। তাই সভার শুরুতেই অমিত শাহের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। জানতে চান, উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা কবে থেকে চালু হবে?
জবাবে শাহ বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসন সব কিছু ঠিক আছে মনে করলে তবেই। এই মুহূর্তে সেখানে অশান্তি বাধাতে নানা রকম কাজকর্ম চালাচ্ছে পাকিস্তান। তাই নিরাপত্তার কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ইঙ্গিত পেলেই আইনশৃঙ্খলা খতিয়ে দেখে এ নিয়ে আলোচনা হবে। তার পরই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে।’’
আরও পড়ুন: এনআরসিতে কোনও ধর্ম টার্গেট নয়, রাজ্যসভায় বললেন অমিত, একই সঙ্গে শোনালেন নতুন নাগরিকত্ব বিলের কথাও
আরও পড়ুন: শহরে ঘাঁটি করে দেশ জুড়ে এটিএম কার্ড জালিয়াতি, এ বার পুলিশের জালে তুর্কি গ্যাং
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে এত দিন অভিযোগ করে আসছিল উপত্যকার একাধিক সংবাদমাধ্যম। এ দিন তা-ও খারিজ করে দেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘উপত্যকায় সমস্ত খবরের কাগজ এবং টিভি চ্যানেল কাজ করছে। খবরের কাগজের বিক্রিতে কোনও ঘাটতি নেই।’’
কাউকে কিছু না জানিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করা নিয়ে শুরু থেকেই মোদী সরকারকে সতর্ক করে আসছেন বিরোধীরা। টানা ১০০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও উপত্যকাকে অবরুদ্ধ করে রাখা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ দিন নাম না করে তাঁদেরও কটাক্ষ করেন শাহ। তাঁর কথায়: ‘‘অনেক নেতা বলছিলেন, শ্রীনগরের রাস্তায় নাকি রক্তগঙ্গা বইবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। বরং স্বাভাবিকই রয়েছে কাশ্মীর। আমি খুশি যে পুলিশের গুলিতে এক জনেরও মৃত্যু হয়নি সেখানে।’’
গত ৫ অগস্ট থেকে পাথর ছোড়ার ঘটনাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে এসেছে বলে জানান শাহ। তিনি জানান, গত বছর যেখানে মোট ৮০৫টি পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল, এ বছর এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫৪৪টি তেমন ঘটনা ঘটেছে।