Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Childbirth

করোনাকালে কমেছে প্রসবকালীন প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ: রিপোর্ট

কোভিডের সময় সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বহু মহিলা। নীতি আয়োগের প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

বিহার এবং চণ্ডীগড়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা সব চেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।

বিহার এবং চণ্ডীগড়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা সব চেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে। ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:১৯
Share: Save:

কোভিডের সময় সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বহু মহিলা। নীতি আয়োগের প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিহার এবং চণ্ডীগড়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা সব চেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।

‘ভারতে পুষ্টির অগ্রগতি: কোভিডকালে পোষণ অভিযান’ শীর্ষক রিপোর্টে করোনার সময় প্রসবকালীন কোনও সুবিধাই পাননি বহু মহিলা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ৫৩ লক্ষ ৪৮ হাজার মহিলা প্রসবের সময় প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পেয়েছেন। তার ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ওই সংখ্যাটি ছিল ৫৪ লক্ষ ৯৮ হাজার। প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ বলতে, সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সুযোগ পাননি। নীতি আয়োগের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর দু’ঘণ্টা থেকে ১৪ দিনের মধ্যে প্রসব পরবর্তী চিকিৎসাও পাননি দেশের অনেক মহিলা। পরিসংখ্যানে উল্লেখ, করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ৩০ লক্ষ ৫২ হাজার মহিলা প্রসবোত্তর চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন। তার এক বছর আগে, অর্থাৎ প্রাক-করোনাকালে সেই সংখ্যা ছিল ৩১ লক্ষ ৩১ হাজার। দেশের ৩২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রসবকালীন সুবিধা হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নীতি আয়োগের ওই রিপোর্টে।

পোষণ অভিযানে কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করেছিল বড় রাজ্যগুলির মধ্যে কেরল তা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে। অন্তত ৫৮ শতাংশ খরচ করেছে দক্ষিণী রাজ্যটি। তালিকার একে বারে শেষে রয়েছে ওড়িশা। নবীন পট্টনায়কের রাজ্যে পোষণ অভিযানে খরচের পরিমাণ মাত্র ৮ শতাংশ।

নীতি আয়োগের ওই রিপোর্টে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মানবউন্নয়নের বিষয়টিরও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৫টি রাজ্য অক্সিলিয়ারি নার্স মিডওয়াই(এএনএম)পদের ৭৫ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে। এ ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ওড়িশা। ওই পদে তারা ১০০ শতাংশ পূরণে সক্ষম হয়েছে। বিহার, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে এএনএম পদ সবচেয়ে কম পূরণ হয়েছে। পঞ্জাবের ক্ষেত্রে এই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

বিহার, ঝাড়খণ্ড, কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড ও উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্যকে শিশুর টিকাদান, প্রসব পূর্ব যত্নে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নীতি আয়োগের রিপোর্টে। এ ছাড়া ডায়ারিয়ার চিকিৎসায় ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন ব্যবহারে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নীতি আয়োগ।

অন্য বিষয়গুলি:

Childbirth COVID19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy