প্রতীকী ছবি।
ডাক্তারদের অবসরের বয়ঃসীমা ৬৫ করা হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু ৫০ পেরিয়ে যাওয়া রেলওয়ে মেডিক্যাল সার্ভিসের আধিকারিকদের এ বার বাধ্যতামূলক অবসর প্রকল্পের আওতায় আনতে চাইছে রেল। সেই জন্য সম্প্রতি চিঠি লিখে ওই আধিকারিকদের কাজকর্মের মূল্যায়ন সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছে রেল বোর্ড। রেলের অন্দরে-বাইরে অভিযোগ উঠছে, দক্ষতা যাচাইটা ছুতো। আসলে ৫০ পেরোলেই সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের ছেঁটে ফেলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
১০ অক্টোবর রেলের বিভিন্ন জ়োনকে লেখা চিঠিতে ৫০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে ৫০ বছর বয়স হয়ে যাবে, রেলওয়ে মেডিক্যাল সার্ভিসের এমন সব আধিকারিকের কাজের মূল্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট কমিটি তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই জন্য ওই আধিকারিকদের সার্ভিস রেকর্ড ছাড়াও অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজ়াল রিপোর্ট (এপিএআর) খতিয়ে দেখতে হবে। কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে বাধ্যতামূলক অবসর নিতে বলা যায়, এমন আধিকারিকদের নামের তালিকাও দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রেল জ়োনগুলিকে।
সারা দেশে রেলওয়ে মেডিক্যাল সার্ভিসের ১৫৪ জন আধিকারিক স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেড এবং হায়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেডে কর্মরত, রেলের স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ওই চিকিৎসকদেরও নতুন পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে কাজের মূল্যায়ন রেল বোর্ড নিজেরাই করবে বলে রেলের খবর।
৫৫ বছর বয়স পেরিয়ে গিয়েছে, এমন কর্মীদের কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে বাধ্যতামূলক অবসর চালু করার কথা আগেই জানিয়েছে রেল। বিভিন্ন জ়োনে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে।
চিকিৎসকদের অবসরের বয়স আগেই বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত চিকিৎসকেরা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন। তার পর থেকে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পারেন তাঁরা। তার পরে ৫০ পেরোনো চিকিৎসকদের দরজা দেখানোর তৎপরতা কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে রেলকর্তাদের একাংশের দাবি, কাজের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতাকে গুরুত্ব দিতেই এই পদক্ষেপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy