কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি: পিটিআই।
বিজেপির সদ্যসমাপ্ত জাতীয় অধিবেশনে মুসলিম সমাজের কাছে বেশি করে পৌঁছনোর পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বাস্তবে সেই সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের প্রশ্নেই সরকারের বাজেট বরাদ্দ প্রায় ৩৮ শতাংশ। বিপুল বরাদ্দ কমেছে মাদ্রাসা শিক্ষায়।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেন, তাতে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের খাতে ৩০৯৭.৬০ কোটি টাকা খরচের প্রস্তাব রাখা হয়, যা গত বারের চেয়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ কম। গত বছর সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের খাতে ৫০২০.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। এ বছরের বরাদ্দ অর্থের মধ্যে ১,৬৮৯ কোটি টাকা রাখা হয়েছে শিক্ষা ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের খাতে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, প্রভূত আর্থিক সাহায্য কমেছে মাদ্রাসা শিক্ষায়। গত বছর যেখানে ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেখানে এ বছর মাত্র ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মতে, গোঁড়া মুসলিম পরিবারগুলিতে শিক্ষার একমাত্র পথ মাদ্রাসাগুলি। গত বছর মৌলানা আজ়াদ জাতীয় ফেলোশিপ বন্ধ করেছিল কেন্দ্র। ফলে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। মুসলিমদের পিছিয়ে থাকা তথা পসমন্দা সমাজের নেতা আলি আনোয়ার বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মুখে এক কথা বলেন। আর কাজের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ কম করার মধ্যেই ওঁর এবং বিজেপির আসল উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে।’’
যদিও মন্ত্রকের কর্তাদের ব্যাখ্যা, গত বারের বাজেটে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের জন্য ৫০২০.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও খরচ হয়েছে ২৬১২.৬৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবেই এ বারের বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। মাদ্রাসা খাতে গত বার ১৬০ কোটি বরাদ্দ হলেও, খরচ হয় ৩০ কোটি টাকা। তাই এ বার ১০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy