প্রতীকী ছবি।
প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে লাদাখ সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ফের বৈঠকে বসল ভারত ও চিন। আজ চিনের দিকে থাকা মলডো-তে সকাল সাড়ে দশটায় ওই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে চলে ওই বৈঠক। সূত্রের খবর, মূলত দু’দেশের সীমান্তে হট স্প্রিং ও গোগরা এলাকায় সেনা সরানো নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
আজ হওয়া দু’দেশের মধ্যে দ্বাদশ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলে লে-তে অবস্থিত ১৪ কোরের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন ও বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব (পূর্ব এশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব। উল্টো দিকে চিনের প্রতিনিধিত্ব করেন সে দেশের সেনার ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের কম্যান্ডার জিউ কিউলিং। চলতি মাসেই ওই ওয়েস্টার্ন কমান্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। একাদশ বৈঠকে হট স্প্রিং, গোগরা থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ছাড়াও ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডেপসাং উপত্যকায় চিনা সেনার সামরিক নির্মাণ সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের মতে, আজকের বৈঠকে পরিকল্পিত ভাবেই ডেপসাং উপত্যকার নির্মাণের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়নি। প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, এই মুহূর্তে ভারতের লক্ষ্য হল গোগরা ও হট স্প্রিং সমস্যার প্রতিকার করা। কারণ ডেসপাং উপত্যকার বিষয়টি জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই আজ সেটিকে আলোচনায় রাখা হয়নি। সূত্রের মতে, আজকের বৈঠকে দু’দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা সরানোর জন্য দাবি তোলে চিন। কিন্তু ভারতের পক্ষে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরাতে হবে চিনকে, তবেই পরবর্তী আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করবে ভারত। নচেৎ নয়। এ ছাড়া বৈঠকে দু’দেশ কোন এলাকা পর্যন্ত ফ্ল্যাগ মার্চ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
গালওয়ান বা প্যাংগং এলাকায় থাকা দু’দেশের সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতি আপাত ভাবে মেনে নিয়েছে চিন। কিন্তু ভারতের কাছে সমস্যার হল সীমান্ত থেকে সেনা সরালেও ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেদের এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চিন। বিশেষ করে তিব্বত মালভূমি এলাকায় চিনের যে এয়ার ফিল্ডগুলি রয়েছে, সেগুলি থেকে যাতে দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান উড়তে পারে, তার জন্য পরিকাঠামোগত উন্নতিতে ব্যস্ত তারা। কারণ উচ্চতার কারণে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ওই ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে চিন। একই সঙ্গে গালওয়ানের ঘটনায় শিক্ষা নিয়ে তিব্বত মিলিটারি রিজিয়ন থেকে জিনজিয়াং প্রদেশে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে চিন। তিব্বত মালভূমি জুড়ে বসানো হচ্ছে দূরপাল্লার কামানও। যা ভারতের কাছে যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। চিন সেনার ওই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রায় ৫০ হাজার সেনা লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন রেখেছে ভারত। ভারতের ওই সেনা সংখ্যা চিনের কাছে উদ্বেগের। প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, চিন সীমান্তে সেনা না সরানো ও সীমান্তে পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজ বন্ধ না করা পর্যন্ত ভারতের সেনা সরানোর কোনও প্রশ্নই নেই। সে কথা আজ ফের স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বেজিংকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy