সেনার এই মানবিক চেহারা প্রকাশ্যে আসতেই প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। ফাইল চিত্র ।
কাশ্মীরের রাজৌরির নৌশেরা সেক্টরের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছ ধরা পড়া ফিদাঁয়ে জঙ্গি তাবারাক হোসেনকে তিন বোতল রক্ত দিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। নৌশেরা ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার রাজীব নায়ার এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “রবিবারের সংঘর্ষে ওই জঙ্গির উরু এবং কাঁধে দুটি গুলি লাগার কারণে সে গুরুতর আহত হয়। প্রচুর পরিমাণ রক্তপাতও হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তিন বোতল রক্ত দিয়ে তার প্রাণ বাঁচিয়েছে।’’ এখন ওই জঙ্গির অবস্থা স্থিতিশীল বলেও তিনি জানিয়েছেন। সেনার এই মানবিক চেহারা প্রকাশ্যে আসতেই প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
তাবারাককে ধরার ঘটনার বিবরণ দিয়ে ব্রিগেডিয়ার কপিল রানা জানান, রবিবার সকালে নৌশেরার ঝাঙ্গার সেক্টরে মোতায়েন ভারতীয় সৈন্যরা দু’-তিন জন জঙ্গিকে অনুপ্রবেশ করতে দেখেন। এদের মধ্যে তাবারাককে ভারতীয় পোস্টের কাছাকাছি এসে বেড়া কাটার চেষ্টা করতে দেখা যায়। সেনাবাহিনীকে দেখে পালানোর চেষ্টা করার সময় তাবারককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তবে তার পিছনে থাকা বাকি জঙ্গিরা পালিয়ে যায়।
কাশ্মীরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শয্যায় শুয়ে বুধবার তাবারাককে বলতে শোনা গিয়েছে, ভারতে ঢুকতে গিয়েই আঘাত পায় সে। তার সঙ্গে আরও চার-পাঁচ জন ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল বলেও জানায় তাবারাক। নিজেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটির সাবকোট গ্রামের বাসিন্দা বলে দাবি করে তাবারাক বলে, ‘‘ভারতে আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য আমার সঙ্গে চার-পাঁচ জনকে পাঠানো হয়। পাক সেনার কর্নেল ইউনাস চৌধরি আমাদের এই কাজ দিয়েছিলেন। এর জন্য আমাদের ৩০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতে ঢুকতে গিয়ে আহত হই আমি।’’
সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, তাবারাক এবং তার ভাই হারুন আলিকে ২০১৬ সালেও ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ধরা হয়। ২০১৭ সালে মানবিক কারণে তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy