নীতীশের দাবি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। ফাইল চিত্র ।
২০২০-এর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জোটসঙ্গী বিজেপির থেকে কম আসন জিতেও কেন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন? জানালেন খোদ নীতীশ কুমার। বুধবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুধুমাত্র চাপের মুখে পড়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হতে এক প্রকার বাধ্য করা হয়েছিল বলেও নীতীশের দাবি।
নীতীশ বলেন, ‘‘২০২০ সালের নির্বাচনের পরে আমি ভেবেছিলাম বিজেপিরই কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন, কারণ তাদের বিধায়ক সংখ্যা বেশি ছিল। আর এর জন্য আমি প্রস্তুতও ছিলাম। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে আমাকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। বিজেপির তরফে বলা হয় আমাকেই মুখ্যমন্ত্রী হতে হবে। তাই, আমি শেষমেশ রাজি হয়ে যাই।’’
নীতীশের দাবি, বিজেপির তরফ থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সুশীলকুমার মোদী এবং প্রেম কুমারের নামও ভাবা হয় সেই সময়। তবে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশই। নীতীশের দাবি, তাঁকে জানানো হয়েছিল, নন্দকিশোর যাদবকে বিধানসভার স্পিকার করা হবে। নন্দকিশোরের সঙ্গে নীতীশের সম্পর্ক ভাল ছিল বলে তিনি এই সিদ্ধান্তে খুশিও হয়েছিলেন। তবে তাঁকে স্পিকার করা হয়নি।
মূলত আরসিপি সিংহকে উদ্দেশ করেই নীতীশ এই মন্তব্যগুলি করেন বলে মনে করা হচ্ছে। নীতীশের এক জন প্রাক্তন সহযোগী এবং বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত আরসিপি। যদিও নীতীশের দাবি, আরসিপি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘‘২০২০-তে আমার বিরুদ্ধে কার কাছে যাওয়া হয়েছিল জানি। কিন্তু সব কিছু জেনেও আমি রাগ পুষে রাখিনি। বরং বলেছিলাম আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই না। আমি বলেছিলাম আপনারা বেশি আসন জিতেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আপনার দলের হওয়া উচিত। কিন্তু চাপের মুখে আমি আপনাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিই। সবাই জানে এর পর কী হয়েছে। আমি যাঁকে শূন্য থেকে শীর্ষে তুলেছিলাম এবং কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম, তিনিই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’’
বুধবার বিহার বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার আগে নীতীশের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ আনে বিরোধী বিজেপি দল। এর উত্তরেই তিনি এই কথা জানান। এর পর অবশ্য শক্তি পরীক্ষায় তিনি সহজেই জিতে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy