ফাইল চিত্র।
পূর্ব লাদাখের অবশিষ্ট বিতর্কিত এলাকাগুলি থেকে সেনা সরানোর সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে ভারত এবং চিন। সোমবার সেনা স্তরের ১৬তম বৈঠ। ফলে ওই এলাকাগুলিতে ভারত-চিন টানাপড়েন এখনও শেষ হল না। তবে ১৬তম বৈঠকে এ নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ভারত-চিন জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সমস্যা মেটাতে দুই দেশই আন্তরিক। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র খুঁজতে দুপক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে ভিত্তিতে অগ্রসর হবে।’
লাদাখ সমস্যার স্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান হলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিআরও মজবুত করবে বলেও বলা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে এলএসি-তে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভারতীয় সেনা এবং চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র কোর কমান্ডার স্তরের ধারাবাহিক বৈঠক চলছে। সোমবার ১৬তম বৈঠক চলে প্রায় সাড়ে ১২ ঘণ্টা।
ডেমচক, গোগরা, ডেপসাং-সহ এলএসির যে সব সংঘর্ষ বিন্দুতে এখনও চিনা সেনার উপস্থিতি রয়েছে, সেখান থেকে দ্রুত সেনা সরানোর জন্য ভারতীয় সেনার তরফে সোমবারের বৈঠকে চাপ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত গত ১১ মার্চ ১৫তম বৈঠকেও ভারতের তরফে একই দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি বলেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তে অচলাবস্থা জারি রয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে দু’দেশের মধ্যে সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে গত জুলাই মাসে প্রথম বড় মাপের সাফল্য আসে। গালওয়ান অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরাতে রাজি হয় চিন। পিছিয়ে যায় ভারতীয় সেনাও। তার পরেও অবশ্য লাদাখের এলএসিতে উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি। প্যাংগং হ্রদের উত্তরে চিনা সেনার সেতু নির্মাণের উপগ্রহচিত্র এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy