—ফাইল চিত্র।
প্রত্যাঘাতের পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক বসল। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, অর্থ মন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত। উপস্থিত রয়েছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সেনা অফিসাররেরাও।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে লেজার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার সাহায্যে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করে। পুলওয়ামা হামলার প্রত্যাঘাতের পর এখনও কোনও সরকারি বিবৃতি আসেনি। ঠিক কী ভাবে এই প্রত্যাঘাত করা হল, বা পাকিস্তান পাল্টা হামলা করলে কী ভাবে তা ঠেকানো সম্ভব, এই সব নিয়েই এই বৈঠক। মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকের পরই হামলার পুরো চিত্রটা স্পষ্ট হবে।
হামলার কথা পাকিস্তান সরাসরি মানতে না চাইলেও প্রত্যাঘাতের পর তাদের তৎপরতা দেখা গিয়েছে। সকালে পাকিস্তানও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছে বলে জানা গিয়েছে। ইসলামাবাদের আকাশেও ফাইটার জেট উড়িয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিতে পারে এই আশঙ্কায় ভারত সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাকে।
ভারত পাক সম্পর্কের উত্থান পতন সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন?
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত, বালাকোট-চাকোটি-মুজফ্রাবাদে ধ্বংস জঙ্গি
পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই এই অভিযান চালানো হয়। সোমবার বালাকোট সেক্টর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢোকে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। এর পর বালাকোট, চাকোটি এবং মুজফ্রাবাদে জইশ-ই-মহম্মদের তিনটি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে ভারত।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামার প্রত্যঘাত, এই যুদ্ধবিমান দিয়েই আজ পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান ভারতের
গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের কন্ট্রোল রুম আলফা-৩। প্রায় ২১ মিনিট ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলি। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, চকোটিতে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে রাত ৩টে ৫৮ মিনিট থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত। মুজাফ্ফারাবাদে বোমাবর্ষণ চলে রাত ৩টে ৪৮ মিনিট থেকে ৩টে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। বায়ুসেনার সফল অভিযানে এ দিনই চকোটি, মুজফফরাবাদ , বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy