Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ আর পাক সীমান্ত দুর্ভেদ্য করতে রেডার বসাচ্ছে ভারত

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে রেডার এবং সেন্সর বসানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সীমান্তের এমন বেশ কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে কাঁটাতার বসানো সম্ভব নয়। সেখানেই এই প্রযুক্তিগত নজরদারি চালু করতে চলেছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

সুন্দরবনের এমন গভীর এলাকাতেই রেডার, সেন্সর বসাতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

সুন্দরবনের এমন গভীর এলাকাতেই রেডার, সেন্সর বসাতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৬ ১৮:০৮
Share: Save:

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে রেডার এবং সেন্সর বসানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সীমান্তের এমন বেশ কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে কাঁটাতার বসানো সম্ভব নয়। সেখানেই এই প্রযুক্তিগত নজরদারি চালু করতে চলেছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণ রেখা তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবন, গুজরাতে কচ্ছের রণ এবং ত্রিপুরার কিছু এলাকাতেও এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু অঞ্চল এত দুর্গম যে সেখানে শুধুমাত্র সেনা মোতায়েন করে নজরদারি সম্ভব নয়। গুজরাতে কচ্ছের রণেও ভারত-পাক সীমান্তে কোনও বেড়া নেই। স্যার ক্রিক নামে একটি সামুদ্রিক প্রণালী ভারত এবং পাকিস্তানের সীমা চিহ্নিত করেছে। আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত এই ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রণালী সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃত হলেও তার ধারে কোনও স্থায়ী বেড়া দেওয়া শক্ত। রণের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত স্যার ক্রিক-এ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারিও কঠিন। একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনেও। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ এলাকাতেই সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত হলেও, সুন্দরবনের মধ্যে সীমান্ত কোথায় বিলীন হয়েছে স্পষ্ট নয়। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাংশে ভারত এবং বাংলাদেশ পরস্পরের সঙ্গে সুন্দরবনের মধ্যে যেন মিশে রয়েছে। এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের গভীরতম এলাকাতেই দু’দেশের সীমান্ত। সেই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি ও পরিবেশ এমনই এবং তা এতই দুর্গম যে কোনওভাবেই সেখানে কাঁটাতার বসানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাচ্ছে পাকিস্তান?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই সব সীমান্ত আর অরক্ষিত রাখতে চায় না। ভারতের বিভিন্ন দুর্গম সীমান্ত অরক্ষিত থাকার সুযোগ নিয়েই জঙ্গিরা এখন এ দেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। সে কথা মাথায় রেখেই দুর্গম এলাকায় সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, এই সীমান্তগুলিতে উন্নত মানের রেডার, সেন্সর, ক্যামেরা এবং কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক বসানো হবে। কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ব্যবস্থা গড়ে তুলে সেই সব নজরদারি সরঞ্জামকে কাজে লাগানো হবে। অর্থাৎ, সীমান্তে বসানো রেডার, সেন্সর বা ক্যামেরায় কোনও সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়লেই কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেনা বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে সেই খবর পৌঁছে দেওয়া হবে। খবর পাওয়া মাত্রই উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেবে দেশের সশস্ত্র বাহিনী।

সর্বাগ্রে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার বেশ কিছু এলাকায় এই ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নিয়ন্ত্রণ রেখায় রেডার, সেন্সর, ক্যামেরা বসাতে এবং কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE