India’s Sari Man Himanshu Verma Feels Confident in a Sari
Sari
এক দশকেরও বেশি সময় শাড়িই পরেন ‘শাড়ি ম্যান’ হিমাংশু
কোনও মিমিক্রি বা ক্রস ড্রেসিং নয়। শাড়িকে তিনি বেছে নিয়েছেন চিন্তাভাবনা করেই। মেয়েরা যদি পুরুষদের পোশাক ক্যারি করতে পারে স্বচ্ছন্দে, তবে ছেলেদের স্টাইল স্টেটমেন্ট শাড়ি হবে না কেন? প্রশ্ন হিমাংশুর।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৫:১০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
রূপান্তরকামী নন। অভিনেতাও নন। কিন্তু তিনি শিল্পের সমঝদার। ভালবাসেন শাড়ি পরতে। মনে করেন, মেয়েলি নয়, বরং, শাড়ি পূর্ণমাত্রায় পুরুষদের পোশাক। তাই গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাড়িই পরেন হিমাংশু বর্মা। ভারতের একমাত্র ‘শাড়ি ম্যান।’
০২১১
হিমাংশু মনে করেন, শাড়িতে পুরুষত্ব বিন্দুমাত্র খাটো হয় না। যদি হত, তা হলে অতীতের কোনও ভারতীয় পুরুষ, পুরুষ ছিলেন না। কারণ সে সময় মূল্যবান শাড়িই ছিল অভিজাত পুরুষের অঙ্গাবরণ। বেনারসী থেকে মসলিন, শাড়িকেই ধুতির মতো করে পরতেন রাজবংশীয়রা।
০৩১১
২০০৬ সাল থেকে শাড়ি পরছেন হিমাংশু। তাঁর প্রিয় সম্ভাষণ, ‘জয় শাড়ি’। জীবনে প্রথমবার শাড়ি পরেছিলেন মায়ের থেকে নিয়ে। সে বার অবশ্য তাঁকে শাড়ি ‘পরতে হয়েছিল’। কিন্তু এরপর হিমাংশু শাড়ির প্রেমে পড়ে যান।
০৪১১
শাড়ি নিয়ে বহু পড়াশোনা করেছেন। জেনেছেন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের শাড়ির রকমফের। গবেষণায় দেখিয়েছেন, আদি থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত শাড়িকেই বিভিন্ন কায়দায় অঙ্গে জড়িয়েছেন ভারতবাসী, নারী পুরুষ নির্বিশেষে।
০৫১১
হিমাংশু মনে করেন, ক্রিয়েটিভিটির দিক দিয়ে শাড়ি অদ্বিতীয় পোশাক। শাড়ির উপরেই পরীক্ষা নিরীক্ষা সবথেকে বেশি করা যায়। তাঁর কথায়, ভারতীয় নারী বা পুরুষদের জন্য শাড়ির মতো পোশাক আর হয় না।
০৬১১
কোনও মিমিক্রি বা ক্রস ড্রেসিং নয়। শাড়িকে তিনি বেছে নিয়েছেন চিন্তাভাবনা করেই। মেয়েরা যদি পুরুষদের পোশাক ক্যারি করতে পারে স্বচ্ছন্দে, তবে ছেলেদের স্টাইল স্টেটমেন্ট শাড়ি হবে না কেন? প্রশ্ন হিমাংশুর।
০৭১১
উজান স্রোতে পাড়ি দিতে গেলে বাধা এসেছে নিয়মমতোই। কিন্তু দমে যাননি হিমাংশু। বিদ্রূপ ও বিরুদ্ধমত সত্ত্বেও আরও আপন করে নিয়েছেন শাড়িকেই। আলমারিতে আছে একশোর কাছাকাছি শাড়ি। যেখানেই বেড়াতে যান, কিনে ফেলেন পছন্দসই শাড়ি। একান্ত ইচ্ছে, ভারতীয় পুরষ আগের মতোই শাড়িকে নিজের পোশাক করে নিক।
০৮১১
শাড়ির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের ভারতীয়দের দূরত্ব বাড়ছেই। এতে দুঃখ পান হিমাংশু। মনে করেন, শাড়ি না পরার জন্য অজুহাতের অভাব হয় না। গরমকাল বা শীতকাল, কোনও সময়েই শাড়ি পরতে চায় না আজকের প্রজন্ম।
০৯১১
হিমাংশু কিন্তু শাড়িতেই সবথেকে স্বচ্ছন্দ। শাড়ির জন্য নিজের লুকও পাল্টাননি হিমাংশু। একমুখ দাড়ি নিয়েও দিব্যি পরেন শাড়ি। কপালে লম্বা তিলক। আগে পরতেন জরির কাজের ভারী শাড়ি। এখন ভালবাসেন পাড়ওয়ালা হাল্কা শাড়ি।
১০১১
বিভিন্ন কায়দায় শাড়ি পরেন হিমাংশু। সেখানেও জারি এক্সপেরিমেন্ট। সবথেকে ভালবাসেন গুজরাতি কায়দায় শাড়ি পরতে। দৈনন্দিন কাজের জন্য পছন্দ শাড়ি পরার ‘ঠাকুরবাড়ি স্টাইল’ বা দক্ষিণী কেতা।
১১১১
শাড়িকে পরম বন্ধু মনে করেন হিমাংশু। শুধু পোশাক নয়, তিনি মনে করেন, নিজের শরীরে জড়িয়ে রেখেছেন প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যকে। মানসিক অবস্থা খারাপ হলেও শাড়ি পরলেই হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পান বলে জানিয়েছেন ‘শাড়ি ম্যান’ হিমাংশু বর্মা। বিশ্বের কাছে তাঁর বার্তা, ‘জয় শাড়ি’।