ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
এপ্রিলের ১৪ তারিখের পরেও কি লকডাউন উঠবে? দেশজোড়া এই জল্পনার মধ্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিনই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। ১৪ তারিখের পরেই লকডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
এ দিনই প্রথম বার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পূর্ণ ও প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে সব এলাকায় বেশি সংখ্যক করোনা-সংক্রমণের হয়নি, অর্থাৎ ‘হটস্পট’ নয়, সেখানে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দফতর খোলার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকেও এমন পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের পর তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘রোজই বিশ্বের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। মানুষের স্বার্থও দেখতে হবে, করোনাও তাড়াতে হবে। সেই অনুযায়ীই লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’
সরকারি সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রীর আজকের মন্তব্য থেকে দু’টি বিষয় স্পষ্ট। এক, ‘হটস্পট’ এলাকায় ১৪ এপ্রিলের পরেও লকডাউন উঠবে না। দুই, একসঙ্গে সব কিছু খুলে দেওয়া হবে না। নানা রকম বিধিনিষেধ জারি থাকবে। যেমন, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে স্কুল-কলেজ আরও কিছু দিন বন্ধ রাখা হতে পারে।
কেন ২১ দিন পরেও লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেওয়া যাচ্ছে না? এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারের হিসেব ছিল, দেশে করোনা-সংক্রমণের হার চলতি সপ্তাহেই শীর্ষে উঠবে। তার পরে নামতে শুরু করবে। কিন্তু তবলিগি জামাতের জেরে সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমে আসার সময়টা পিছিয়ে দিয়েছে।’’
দিল্লির এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘‘১০ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান মিলবে। তা থেকেই বোঝা যাবে লকডাউনে কতটা সাফল্য এসেছে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’’
সূত্রের খবর, কী ভাবে সংক্রমণ না-ছড়িয়ে লকডাউন ধাপে ধাপে তোলা যায়, সে ব্যাপারে মন্ত্রীদের নিজের রাজ্যে জেলাস্তরে, সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী। এক মন্ত্রী বলেন, ‘‘রবি ফসল কাটার বিষয়টিও মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। শ্রমিকরা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পারেন, এমন কী কী শিল্প খুলে দেওয়া যায়, তা নিয়েও ভাবতে বলা হয়েছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy