Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
India Lockdown

মদে কোনও ছাড় নেই, নির্দেশ কেন্দ্রের

রাজ্যগুলির যুক্তি ছিল, খাদ্য সুরক্ষা আইনে মদ খাদ্যদ্রব্যের মধ্যেই পড়ে। অন্য খাদ্য সামগ্রীতে ছাড় রয়েছে, ফলে মদেও ছাড় দেওয়া উচিত।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৩২
Share: Save:

সুরাপ্রেমীদের ‘উল্লাস’-এর সুযোগ মিলল না।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই দাবি তুলেছিলেন, অ্যালকোহল বা মদ বিক্রিতে ছাড় দেওয়া হোক। লকডাউনের জন্য দোকান-বাজার বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কমে গিয়ে কোষাগার প্রায় খালি। মদ বিক্রি হলে অনেকটাই রাজস্ব আয় বাড়বে। কিন্তু আজ মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন পর্বে মদ বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। গুটখা ও অন্যান্য তামাক বিক্রির উপরেও কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকছে। ২০ এপ্রিল থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও মদ বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। অসম, মেঘালয়ের মতো কিছু রাজ্য সম্প্রতি মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও কেন্দ্রের বক্তব্য, কোনও রকম ছাড় দেওয়া চলবে না।

রাজ্যগুলির যুক্তি ছিল, খাদ্য সুরক্ষা আইনে মদ খাদ্যদ্রব্যের মধ্যেই পড়ে। অন্য খাদ্য সামগ্রীতে ছাড় রয়েছে, ফলে মদেও ছাড় দেওয়া উচিত। তা ছাড়া সরকারি ভাবে মদ বিক্রি বন্ধ থাকলেও, কালোবাজারে দ্বিগুণ, তিনগুণ দামে বিক্রি চলছে। রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। বেআইনি চোলাই মদের বিক্রিও বাড়ছে। আর অ্যালকোহল না-পেয়ে সুরাসক্তদের অসুবিধা হচ্ছে। আত্মহত্যার চেষ্টাও করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন: করোনা-মুক্তির শর্তেই ছাড়পত্র

কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের যুক্তি, করোনা-অতিমারির সময় মদ্যপান না-করারই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পাশাপাশি, ঘিঞ্জি এলাকায় মদ্যপায়ীরা লকডাউন ভেঙে বেরিয়ে পড়লে পুলিশের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন।

আরও পড়ুন: লকডাউনে কোথায় ছাড়, কোথায় নয়, দেখে নিন

দেশে কেরল ও মেঘালয়ে মাথা পিছু মদ্যপানের পরিমাণ সবথেকে বেশি। গত সাত-আট বছরে দেশে প্রায় ৩০ শতাংশ মদ্যপান বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মদের উপর শুল্ক বাবদ রাজ্যের রাজস্ব আয়। দিল্লিতে মদ বিক্রির উপরে শুল্ক থেকে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা আয় হয়। কর্নাটকের মতো রাজ্যে এই আয় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। অ্যালকোহল প্রস্তুতকারী সংগঠনগুলিও সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে ছাড়ের আবেদন জানিয়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল স্পিরিটস অ্যান্ড ওয়াইন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার হিসেবে, সব রাজ্য যোগ করলে রোজ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy