৩০ জুন পর্যন্ত সংরক্ষিত সমস্ত ট্রেনের টিকিট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল রেল।
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সংরক্ষিত সমস্ত ট্রেনের টিকিট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল রেল। চতুর্থ দফা লকডাউন শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। তার আগে রেলের ওই সিদ্ধান্ত লকডাউনের মেয়াদ নিয়েই জল্পনা বাড়িয়ে দিল। জুন মাস পর্যন্ত রুটিন ট্রেনের টিকিট বাতিল হলেও আপাতত শ্রমিক স্পেশাল ও দিল্লি থেকে দেশের ১৫টি স্থানের উদ্দেশে যাতায়াতকারী বিশেষ ট্রেন পরিষেবা যথারীতি চালু থাকছে।
বুধবার রাতে রেল বোর্ড ৩০ জুন পর্যন্ত সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। নির্দেশিকায় শহরতলির মধ্যে চলা ট্রেনের টিকিট বাতিলের কথাও বলা রয়েছে। এর আগে ১৭ মে পর্যন্ত সব টিকিট বাতিল করা হয়েছিল। এ বার ফেব্রুয়ারি মাসেই যাঁরা আগেভাগে জুন মাসের টিকিট কেটে রেখেছিলেন, তা-ও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রেল জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের পুরো ভাড়াই ফিরিয়ে
দেবে রেল। টিকিট বাতিলের কারণে কোনও অর্থ কাটা যাবে না। যাঁরা অনলাইনে আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে টিকিট কেটেছেন, তাঁদের সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেবে রেল। এর জন্য আলাদা করে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকিট বাতিল করতে হবে না যাত্রীদের। যাঁরা রিজার্ভেশন কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছেন, তাঁদের অবশ্য রেলের টিকিট কাউন্টার থেকেই টিকিট বাতিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন আরও শিথিল চাইছেন দিল্লিবাসী
বর্তমানে দেশের যে ১৫টি স্থানের উদ্দেশে দিল্লি থেকে ট্রেন চলছে, সেই সব উৎস এবং গন্তব্যের স্টেশনে স্বল্প সংখ্যায় সংরক্ষিত কাউন্টার খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। যাত্রীরা চাইলে সেখানে গিয়ে টিকিট বাতিল করতে পারেন। লকডাউনের কারণে ঘরবন্দিদের কথা ভেবে এ ক্ষেত্রে অবশ্য বাড়ি থেকে টিকিট বাতিলের জন্য বার হতে নিষেধ করছে রেল। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, লকডাউনকে মাথায় রেখে যাত্রার দিন থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে যে কোনও দিন টিকিট বাতিল করতে পারবেন যাত্রীরা। ছয় মাসের মধ্যে টিকিট বাতিল করলে কোনও বাড়তি অর্থ কাটা যাবে না। রেলের বক্তব্য, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে ধীরে সুস্থে যাত্রীরা যাতে টিকিট বাতিল করতে পারেন, তাই ছয় মাসের অতিরিক্ত সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। তবে স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও খারাপ ইন্টারনেট পরিষেবা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলির ইচ্ছুক যাত্রীদের অন্যের সাহায্য নিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট বুক করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। রেল মন্ত্রকের বক্তব্য, এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই কিছু বুকিং কাউন্টার খোলা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক ফেরাতে ১০৫ ট্রেন, কটাক্ষ কেন্দ্রের
চতুর্থ দফা লকডাউন শুরুর মুখে রেলের ওই সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তা হলে কি গোটা জুন মাস ধরে লকডাউন জারি থাকবে? রেল মন্ত্রকের টিকিট বাতিলের সিদ্ধান্ত কি সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে? সরাসরি এ প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি রেলকর্তারা। রেল মন্ত্রকের বক্তব্য, আপাতত টিকিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক স্পেশাল ও বিশেষ ট্রেনগুলি চালু থাকছে।
আগামী দিনে স্বল্প দূরত্বে শতাব্দী এক্সপ্রেস চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। রেলের এক কর্তা বলেন, করোনা সংক্রমণের আবহে একটি বিষয় স্পষ্ট, আগামী এক মাসের মধ্যে রেল পরিচালনব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাক, তা চাইছে না কেন্দ্র। সেই কারণে জুন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ বাতিল করা হয়েছে। যদি এক মাসে পরিস্থিতির আশাতীত উন্নতি হয়, সে ক্ষেত্রে জুলাই থেকে স্বাভাবিক ট্রেন চলবে। তা না-হলে জুলাইতেও আংশিক পরিষেবা চালু থাকবে। যাঁদের একেবারে যাত্রা না-করলেই নয়, তাঁরা প্রয়োজনে বিশেষ ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন। গত ১৩ মে থেকে স্পেশাল ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণের সময়ে যাত্রীদের সম্পূর্ণ ঠিকানা নেওয়া শুরু করেছে আইআরসিটিসি। রেলের বক্তব্য, সংক্রমণের প্রশ্নে পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যেই যাত্রীদের ঠিকানা চাওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy