তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ান (বাঁ দিকে) ও বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। —ফাইল চিত্র
এ পর্যন্ত বাগযুদ্ধের স্তরেই ছিল। কিন্তু সেখানেই থেমে না থেকে এ বার সরাসরি তুরস্কের বিরুদ্ধে ডিমার্শ (প্রতিবাদ পত্র) পাঠল ভারত। আজ সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান। সাউথ ব্লকের কর্তাদের সূত্রে খবর, বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পশ্চিম) বিকাশ স্বরূপের মাধ্যমে তুরষ্কের নয়াদিল্লির রাষ্ট্রদূতকে এই প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের কড়া বার্তা, ‘‘এর্ডোয়ানের এই মন্তব্য ইতিহাস এবং কূটনীতি—কোনওটার সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’’
পাকিস্তান সফরে এসে পাক সংসদে জম্মু কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করায় কার্যত দিল্লির রোষের মুখে পড়েছেন রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ান। শুক্রবার এর্ডোয়ানের ওই মন্তব্যের পর শনিবারই ওই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে বিদেশ মন্ত্রক। সোমবার আরও এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি কূটনৈতিক পদক্ষেপ করল ভারত। সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘‘পাকিস্তান সফরের সময় জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপতি এর্ডোয়ানের মন্তব্যের জেরে তুরস্ক সরকারকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে ভারত। এই ধরনের মন্তব্য ইতিহাস ও কূটনীতি কোনওটার পক্ষেই মানানসই নয়।’’ এর্ডোয়ান ‘ইতিহাস বিকৃত করেছেন’ বলেও মন্তব্য করেছেন রবীশ কুমার।
এর্ডোয়ানের বিরুদ্ধে এ দিন গোড়া থেকেই কার্যত খড়গহস্ত ছিলেন রবীশ কুমার। তিনি বলেন, ‘‘অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তুরস্ক কী ভাবে হস্তক্ষেপ করে, সাম্প্রতিক এই ঘটনাই তার প্রমাণ। ভারতের কাছে এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।’’
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার তুরষ্কের রাষ্ট্রপতি রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ানের পাকিস্তান সফর ঘিরে। পাক সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন এর্ডোয়ান। তাতেই কাশ্মীর ইস্যুতে কার্যত পাকিস্তানের সুরে গলা মিলিয়ে বলেন, ‘‘দ্বন্দ্ব ও অত্যাচার দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে না। একমাত্র সুবিচার আর সাম্যের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কাশ্মীর যতটা আপনাদের (পাকিস্তান) হৃদয়ের কাছের, ততটাই আমাদেরও।’’
আরও পড়ুন: নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসি ৩ মার্চ, জারি নয়া মৃত্যু পরোয়ানা
আরও পড়ুন: ধনখড়ের সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠকে মমতা, সঙ্ঘাতের আঁচ কমার ইঙ্গিত টুইটে
এর্ডোয়ানের এই মন্তব্যে বেজায় অসন্তুষ্ট ভারত। একে তো ভারত-পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো, তার উপর পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। সেই কারণেই এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আঙ্কারাকে কড়া বার্তা দিল ভারত। এর জেরে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে বাধ্য বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy