Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Jammu and Kashmir

তালিবানের হাত ঘুরে উপত্যকায় জঙ্গিদের কাছে আমেরিকার অস্ত্র, উদ্বেগ বাড়ছে সেনাবাহিনীর

বিএসএফ সূত্রের খবর, ২০২১ থেকে উপত্যকায় একে-সিরিজ়ের রাইফেল, আইইডি-সহ অস্ত্র উদ্ধারের পরিমাণ বিপুল ভাবে বেড়েছে। এগুলির বেশির ভাগই আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া আমেরিকার সেনার অস্ত্র।

Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সাবির ইবন ইউসুফ
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৪
Share: Save:

আমেরিকার সেনাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র তালিবানের হাত ধরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের মাধ্যমে ঢুকছে জম্মু-কাশ্মীরে। উপত্যকায় একের পর এক জঙ্গি হামলার মধ্যেই এই বিষয়টি ক্রমাগত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর। বৃহস্পতিবারই কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে হত দুই জঙ্গির এক জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে স্টেয়ার এইউজি রাইফেল। আমেরিকা-সহ নেটোগোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলি ছাড়াও একাধিক দেশের সেনাবাহিনী এই উন্নতমানের অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করে। সেই অস্ত্র উপত্যকায় জঙ্গিদের হাতে মেলায় কপালে ভাঁজ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলির। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে তারা।

এক নিরাপত্তা আধিকারিক জানান, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে পালানোর সময় আমেরিকান সেনার ফেলে যাওয়া বিপুল অস্ত্রভান্ডার এখন তালিবানের হাতে। পাক জঙ্গিরা তালিবানের সাহায্য নিয়ে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করে উপত্যকায় অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে।

বিএসএফ সূত্রের খবর, ২০২১ থেকে উপত্যকায় একে-সিরিজ়ের রাইফেল, আইইডি-সহ অস্ত্র উদ্ধারের পরিমাণ বিপুল ভাবে বেড়েছে। এগুলির বেশির ভাগই আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া আমেরিকার সেনার অস্ত্র। চলতি মাসে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায় তৈরি এম৪ কার্বাইন অ্যাসল্ট রাইফেল। নিরাপত্তাবাহিনীর বক্তব্য, আফগানিস্তানে নেটো ও আমেরিকার ফেলে যাওয়া অস্ত্রই হাত ঘুরে পৌঁছে যাচ্ছে কাশ্মীরের জঙ্গিদের হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি গত বছর জানিয়েছিল, পুঞ্চ হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও রসদের জোগান দিয়েছিল তালিবান। স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তে সে সময় জানা গিয়েছিল, ২০২১ সালে আমেরিকা যে সব বুলেট আফগানিস্তানে ফেলে এসেছিল, সেগুলিই পুঞ্চ হামলায় ব্যবহৃত হয়।

উপত্যকায় অস্থিরতা তৈরিতে পাক জঙ্গিদের পাশাপাশি তালিবানের এই অস্ত্র সরবরাহকারীর ভূমিকা দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই সব পাক জঙ্গিরা এক সময় তালিবানের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এবং তাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধও করেছিল। ফলে আমেরিকার ফেলে যাওয়া অস্ত্রের ব্যবহার তাদের কাছে কঠিন নয়।

জঙ্গি দমনে বেশ কিছু পদক্ষেপ করার পরেও গত কয়েক বছরে সীমান্তে হামলার সংখ্যা বাড়ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি সংসদে উপত্যকার জঙ্গি হামলা ঠেকাতে এবং আমজনতার সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে বেশ কিছু বৈঠক করেছে। স্ট্যাটিক গার্ড, চেক পয়েন্ট, রাতে সেনার টহলদারি বাড়ানো এবং পুলিশ, সেনা এবং সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)-এর তল্লাশি অভিযান-সহ একাধিক নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pakistan militant taliban
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE