ব্রহ্মপুত্রের উজানে বাঁধ তৈরির সঙ্গে ভারতের দিকে স্রোত পরিবর্তনের সংযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এই মর্মে জানানো হয়েছে সংসদকে। বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্রে জলের গতিমুখ বদলে যাওয়া নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তার কথা সরকার ক্রমাগত চিনকে বলে এসেছে।
একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ব্রহ্মপুত্রের জলস্রোতের পরিবর্তন হচ্ছে। আর তার সঙ্গে চিনের দিকে নদীর উপরে পরিকাঠমোর কাজের সম্পর্ক রয়েছে, এমন রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে বারবার। সরকার এটাও লক্ষ্য রেখেছে যে, চিন সরকার এই সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করছে। তাদের বক্তব্য, ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলানো এবং অন্যান্য সমস্যার জন্য দায়ী এই অঞ্চলের ভূমিকম্পের ঘটনা।’ বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, কেন্দ্র এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
চিন যে ইয়াললুং সাংপোর (চিন ও চিন অধিকৃত তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের নাম) উপরে বড় বাঁধ তৈরি করছে, তা নিয়ে ২০১০ সালে প্রথম সরব হয় জন জাগৃতি সঙ্ঘ। দাবি করা হয়, চিন ব্রহ্মপুত্রের গতিপথে বাঁধ দিয়ে দেশের উত্তরে জল পাঠাবার ব্যবস্থা করছে। এর পর অরুণাচলে ব্রহ্মপুত্রের উজানি অংশ সিয়াং তিন দফায় জলশূন্য হয়ে পড়ে। ভারতের আশঙ্কা, চিন ইয়াললুং সাংপোর উপরে একাধিক বড় বাঁধ তৈরি করছে। তারা জলধারার গতি বদলে দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। চিনের স্তোকবাক্যের পরেও এই আশঙ্কা পুরোপুরি যে যাচ্ছে না, তার প্রমাণ রাজ্যসভায় দেওয়া মন্ত্রকের এই লিখিত উত্তরটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy